রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছেন স্ত্রী। শনিবার সকালে বাঘার মীরগঞ্জ এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী জুলিয়াকে ঢাকা নেওয়ার পথে সে প্রাইভেটকার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আহত হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর স্বামী মোহাম্মদ আলীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৬ বছর আগে উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে জুলিয়া খাতুন (২০) এর বিয়ে হয় রাজবাড়ী জেলার শহিদুল মণ্ডলের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৭) এর সঙ্গে। বর্তমানে তাদের সংসারে ৫ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। শহিদুল গার্মেন্ট ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় বর্তমানে ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
জুলিয়ার মামা মুকুল হোসেন জানান, সম্প্রতি মেয়ে ও জামাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এ কারণে গত একমাস ধরে জুলিয়া তার মা-বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল এবং ঢাকায় যেতে চাচ্ছিল না। হঠাৎ শুক্রবার জামাই তার প্রাইভেটকার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি মীরগঞ্জে বেড়াতে আসে। এরপর শনিবার সকাল ১০ টার সময় বাঘা মাজার শরিফ দেখতে আসার কথা বলে স্ত্রী-পুত্রকে প্রাইভেটকারে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর মাজারে না গিয়ে বাঘা বাজার অতিক্রম করে জামাই ঢাকার উদ্দেশে গাড়ি চালাতে থাকলে জুলিয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে গাড়ির দরজা খুলে মাটিতে ঝাঁপ দেয়। এ ঘটনায় সে গুরুত্বর আহত হয়।
এ সময় জুলিয়ার স্বামীসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক জুলিয়াকে আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে আসে। এরপর একটি মাইক্রোবাস যোগে জুলিয়াকে রামেক হাসপাতালে নিলে পথে সে মারা যায়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বামী মোহাম্মদ আলীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিকেল পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র:বিডি-প্রতিদিন