নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে সবুজ হোসেন (২৫) নামে এক হতভাগ্য যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে সবুজ উপজেলার নটাবাড়িয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বিষপান করেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
সবুজ নটাবাড়িয়ায় গ্রামের ফয়জাল হোসেনের ছেলে। তিনি একটি সিমেন্টের খুঁটি নির্মাণ কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্কুলজীবন থেকেই সবুজের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরিবারের চাপে অন্য যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর স্বামী উপার্জনের জন্য প্রবাসে গেলে ওই মেয়েটি এক সন্তানসহ বাবার বাড়িতে থাকত। এ সময় পুনরায় যোগাযোগ হলে মাস ছয়েক আগে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে ওই মেয়ে সবুজকে বিয়ে করেন।
এরপর থেকে সবুজ শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন; কিন্তু কিছুদিন যাবত সবুজের স্ত্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরই জের ধরে গত রোববার সন্ধ্যায় সবুজের স্ত্রী কাউকে কিছু না জানিয়ে সারারাত বাইরে কাটান। রাতে সব আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সোমবার সকালে বাড়ি ফিরে এলে এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সবুজের ঝগড়া হয়। পরে ক্ষোভে সবুজ ঘরে ঢুকে বিষপান করেন। স্বজনরা বুঝতে পেরে তাকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে রাতে তিনি মারা যান।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, রাজশাহীতে মারা যাওয়ায় রাজপাড়া থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।