সিংড়া প্রতিবেদক:
সিংড়া কৃষিপ্রধান বৃহত্তম চলনবিল অঞ্চলে মাঠ ভরা বোরো ধান পেকে এখন সোনালী রং ধারণ করেছে। আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে ধান কাটা মাড়াইয়ের মহোৎসব। এবার আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। ধান কাটার শ্রমিক সংগ্রহ, ধান সংগ্রহের খোলা পরিস্কার পরিছন্ন, ধাান মাড়াই মেশিন মেরামতসহ জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তোলার নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই অঞ্চলের কৃষক। কৃষকের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত সাতপুকুরিয়া, ডাহিয়া, আয়েশসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। তবে কিছু কৃষকদের দাবি গত সপ্তাহের কালবৈশাখী ঝড়সহ শিলা বৃষ্টি ও সম্প্রতি পাকা ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ার অনেক কৃষক এবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আশানুরুপ ফলন পাবেন না। এদিকে ধান কাটার শুরুতেই চলমান লকডাউন শুরু হওয়ায় সঠিক সময়ে শ্রমিকদের নিয়ে ধান কাটতে পারবেন কিনা এমন শঙ্কাতেও দিন কাটছে কৃষকদের।
আয়েশ গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, প্রতিবছর পাবনার বেড়া এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসে আমার ধান কেটে দিয়ে যান। এবছরও সেই শ্রমিক দলের সাথে কথা বলেছি। তারা আসলে আগামী সোমবার থেকে ধান কাটবো।
একই গ্রামের কৃষক বাহা উদ্দিন শেখ বলেন, আমি ৪০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ধান কাটার আগ মুহূর্তে লকডাউনের কারণে চিন্তায় আছি। বাহিরের শ্রমিকরা সঠিক সময়ে আসতে না পারলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
সাঁতপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল বলেন, এবছর চলনবিলে বড় বন্যার কারণে সব জমিতেই ফলন ভালো হয়েছে। সঠিক সময়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে আমরা সবাই লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, চলতি বছরে উপজেলায় ৩৬ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। চলমান লকডাউনে শ্রমিকদের চলাচলে কোন বাধা নেই। কাজেই কৃষক সঠিক সময়েই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।