সিংড়া প্রতিবেদক:
এলাকার যুব ও তরুণ সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে মুক্ত করে খেলাধুলার মাধ্যমে সুষ্ঠ ও সুন্দর জীবন গড়ার লক্ষ্যে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় খেলার মাঠ র্নিমাণের উদ্যোগ নিয়েছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার মহেশচন্দ্রপুর গ্রামবাসী।
মহেশচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলার সবচেয়ে বড় করলার বাজার মহেশচন্দ্রপুর রাস্তা সংলগ্ন গুড়নই নদীর তীরে প্রায় ১ একর পরিত্যক্ত জায়গায় নিজেদের অর্থায়নে এই খেলার মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেন মহেশচন্দ্রপুর গ্রাম সহ পাশের কয়েকটি গ্রামের সচেতন মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় খেলার মাঠ র্নিমাণে মাটি ভরাটের কাজ করছেন গ্রামবাসী। ওই গ্রামের অধ্যাপক আব্দুল কাউয়ুম, আশরাফুল, নজরুল, আবু সাইদ, ও শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই পাঁচ গাঁয়ের মধ্যে কোন খেলার মাঠ নেই। তাই আমরা সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই খেলার মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।
গ্রামবাসীরা জানায়, মহেশ চন্দ্রপুর গ্রামে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। গ্রামটির কিছু অংশ সিংড়া পৌর শহরের ১০নং ওর্য়াড এবং বাকি অংশ উপজেলার কলম ইউনিয়নের ১নং ওর্য়াড নিয়ে গঠিত হলেও বৃহত্তম মহেশচন্দ্রপুর গ্রামবাসীর রয়েছে সামজিক ঐক্য। এখানে মোট ৫টি মসজিদ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ রয়েছে কেন্দীয় ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান। নতুন খেলার মাঠ র্নিমাণের পাশা পাশি গ্রামবাসীর অর্থায়নে কেন্দ্রীয় কবরস্থানেও মাটি ভরাটের কাজ করছেন মহেশচন্দ্রপুর গ্রামবাসী।
মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের কলম ইউপির ১নং ওর্য়াড সদস্য রফিকুল ইসলাম এবং ওই গ্রামেরই আরেকটি অংশ সিংড়া পৌরশহরের ১০নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর আব্দুল আউয়াল রিংকু বলেন, মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের গুড়নই নদীর এই পরিত্যক্ত জলাশয়টি র্দীঘ দিন ধরে বর্ষায় নদীর স্রোতে ভাঙ্গনের ঝুকিতে ছিল প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি সহ করলার বাজার ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাওয়ার ঝুকি এড়াতে তাই আমরা এখানে খেলার মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের র্শিক্ষাথী সহ এলাকার যুবক ও তরুণদের খেলাধুলার পাশাপাশি মৌসুমী করলার বাজারও এখানে বসাতে পারবো। চলনবিলের অন্যতম বড় করলার বাজার খ্যাত আমাদের এই মহেশচন্দ্রপুর। দুর দুরান্তের অনেক পাইকাররা করলা কিনতে আসেন এই বাজারে। এত দিন স্বল্প জায়গায় রাস্তার ধারে এই বাজার লাগলেও র্নিমাণাধীন এই মাঠে খেলা ধুলার পাশাপশি করলার বাজার স্থানান্তর করা হলে করলা চাষী ও পাইকাররা অনেকটা সুবিধা পাবে। এলাকাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।