স্টাফ রিপোর্টার:
নাটোরে জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় ইট ভাটা মালিক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শরিফুল ইসলাম রমজান তার মূল বক্তব্যে বলেন, নাটোর জেলায় প্রতিবছর ইটের চাহিদা থাকে প্রায় ৬০ কোটি। কিন্তু মাটির অপ্রতুলতার কারণে এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ইট। যার ফলে এই ঘাটতি মেটাতে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর তুলনায় প্রতি হাজার ইট ২ হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এই অতিরিক্ত মূল্য নিতে হচ্ছে। ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি রমজান আরও বলেন, নাটোর সদর উপজেলায় ৮ জন ইট ভাটা মালিকের লাইসেন্স নাই, তবে লাইসেন্স করার প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি আরও বলেন, নাটোর জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সকল ভাটায় পরিবেশ বান্ধব জিগজ্যাক হাওয়াই চিমনির ব্যবহার করে থাকি। আমাদের একটা ভাটাতেও ড্রাম চিমনীর কোন অস্তিত্ব নাই। আমাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নের কারণে ইতিপূর্বে আমরা নাটোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পুরষ্কৃতও হয়েছি। ইট প্রস্তুতের মাটি পরিবহনের সময় রাস্তায় যেন কোন মাটি না পড়ে, রাস্তায় চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহন ও পথচারীদের যেন কোন রকম সমস্যা না হয় সেদিকে আমরা সকল ভাটা মালিককে সতর্ক করেছি।
রমজান বলেন, আমরা পরিবেশ ঠিক রাখতে চাই, কৃষি জমি রক্ষা করতে চাই, আমরা ভাটা সংশ্লিষ্ট সকল কর্মচারীর জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে চাই এবং তার জন্য সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা ও সুপরামর্শ চাই। আমাদের কোথাও যদি কোন ত্রæটি পরিলক্ষিত হয় তাহলে আমাদেরকে তা শুধরানোর সুযোগ দিন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইট ভাটা মালিক সমিতির দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধিত আকারে পাশ হয় যার বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।