নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে এক সরকারি কর্মচারীর পদ পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া রেহেনা বেগম (৪০) উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে ৬৮ নম্বর সদস্য ও নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে ৬৯ নম্বর সদস্য হিসেবে পদ পেয়েছেন।
সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের রাজনৈতিক দলের পদে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোর্শেফুল ইসলাম রেহানার চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাজস্ব খাত থেকে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন রেহেনা। সরকারি চাকরি করে সক্রিয় রাজনীতি করার সুযোগ নেই তাঁর। খোঁজখবর নিয়ে তাঁর বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে রেহেনা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘সক্রিয় নয়, চাকরির ফাঁকে ফাঁকে যতটুকু পারি দল ও মানুষের জন্য কাজ করি। এ কারণেই হয়তো দলের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।’
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, রেহেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। এ কারণে তাঁকে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। ৪ মে উপজেলা আওয়ামী লীগের পরিচিতি সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুস।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী বলেন,”ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটিতে নিজেদের আস্থাভাজনদের রাখার কারণে সরকারি কর্মচারী নাম ঢুকছে। আওয়ামী লীগ করা প্রকৃত ব্যক্তিদের কমিটিতে রাখা হলে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আয়াকে রাখার সুযোগ হতো না।”
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন,”কমিটিতে সদস্যপদ পাওয়া রেহেনা বেগমকে তিনি চেনেন না।”