রেজাউল করিম মিন্টু: নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলার জুয়াড়ী গ্রামের অধিবাসী আলহাজ্ব আব্দুল ছোবহান মাস্টারের গত চার বছর পূর্বে বহস্যজনক মৃত্যু হলে আব্দুল ছোবহানের ৪ পুত্র , সারোয়ার পারভেজ উজ্জল, সাকাওয়াত পারভেজ সজল, শাহিন পারভেজ চঞ্চল, নতুল পারভেজ, ৩ কণ্যা সানজিদা পারভীন প্রীতি, শাহাজিদা পারভীন স্মৃতি, সাহাদিনা পারভীন কৃতি, স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম মুসলিম শরীয়া আইন মোতাবেক মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদের মালিক। সে অনুযায়ী মৃত আব্দুল ছোবহানের রেখে যাওয়া সম্পদেও মালিক তার স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ৩ কণ্যা। কিন্তু প্রতারক সাকাওয়াত পারভেজ সজল ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম সমস্ত সম্পদের মালিক বলে দাবী করে এলাকায় প্রচার করে। সজল বলে আমার বাবা আমার নামে তার সমস্ত সম্পত্তি দলিল করে দিয়ে গেছেন। সে অনেক মিষ্টি ভাষী , কখনও নিজেকে আইনজীবি, কখনও জোয়াড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান , কখনও দশ পনেরটি গার্মেন্টের মালিক, কখনও কবি সাহিত্যিক, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির উর্ধ্বতর কর্মকর্তা, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পার্টির বড় নেতা, দলিল লেখক ইত্যাদি বলে নিজেকে দাবি করে।
এই প্রতারক সজল বাবলু হাজীর সই জাল করে, জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তিকে স্ট্যাম্প করে দেয়। কালুর জামাই এরশাদকে পুকুর দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করে পরে তা অস্বীকার করে। টাকা গ্রহনের ঘটনাটি সত্য বলে প্রমাণিত হলে কোর্টে টাকা জমা দিয়ে জেল থেকে মুক্তি পায়। সে তার আপন শ্বশুর রাহেদ মৃধার সহি জাল করে ১২ বিঘা জমি তার স্ত্রী রাশিদা বেগম ও তার শ্যালক মোস্তফার নামে লিখে নেয় , পরে তা জানাজানি হলে তিরাইল গ্রামের স্থানীয় লোকদের চাপে তার দাবি হতে সরে আসে। বিষয়টি সত্য বলে জানায় তার অপর শ্যালক সাইফুল ইসলাম।
প্রতারক সজলের আরোও এক রূপ হলো সে ভয়ংকর সন্ত্রসী ও দাঙ্গাবাজ, ৪নং ওয়ার্ডে ও আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মন্ডলকে লাঞ্চিত করে। ১৯৯৪ সালে নিপেন দত্তের বাড়িঘর ভাংচুর ও নিপেরদত্তের ছেলে নিমুদত্ত, মিন্টু দত্ত, সেন্টু দত্ত, মধূ দত্ত ও রবিদত্তের উপর রক্তক্ষয়ী অমানবিক নির্যাতন করে। সে সময়ের ক্ষমতাসীন দল জামাত, বিএনপি’র ও ফ্রিডম পার্টির পক্ষ থেকে। এই প্রতারক একজন গাঁজা সেবনকারী এবং যাদের সাথে চলাফেরা করে তারা সবাই মাদকের সাথে জড়িত। সে জোয়াড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজল কুমার সরকারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে, দোকান বাকী না দেওয়ায় কাজল কুমার সরকারকে মারধর ও তার দোকান ভাংচুর করে। অনলাইনে ভুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লোকজনের কাজ থেকে চাকুরি দেবার নামে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। রঞ্জিতের ছেলে মানিকের বউ নিপা রানী দাস বলেন চাকুরি দেবার নামে তার কাছে থেকে দশ হাজার টাকা নিয়েছেন এই প্রতারক সজল, চাকুরি বা টাকা কোনটাই দেয়নি। দূরদূরান্তের অনেক বেকার শিক্ষিত লোকজনদের নিকট থেকে টাকা প্রতারনা করেছে প্রতারক ও তার স্ত্রী।
প্রতারকের ছোট মা মোছাঃ হোসনেয়ারা খাতুন জানায় , সজল ও স্ত্রী বলে ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে কিন্তু হোসনেয়ারা বুঝতে পারে প্রতারক তার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে তাই তাদের কথা না শুনে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতেন তার স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে। সজল, তার স্ত্রী এবং তার শ্যালক মোস্তফাসহ আরো তিন চারজন অপরিচিত লোক, হোসনেয়ারা তার স¦ামী ও মেয়ে এই তিনজনকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার এক নীল নকশ এঁকেছিল , যাতে তার বাবার সব সম্পত্তি দখল করতে পারে। আব্দুল ছোবহান মাস্টার মৃত্যুর দিন হোসনেয়ারা তার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি ছিল, বাড়িতে একা ছিল মাস্টার ছোবহান এই সুযোগে সুকৌশলে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে হোসনেয়ারার দাবি।
এমতাবস্থায় হোসনেয়ারা মেয়েসহ নিজেকে অসম্ভব নিরাপত্তাহীন ভাবছে। তাই সে তার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কার্যবিধি ১০৭/১১৪/১১৭(৩) ধারা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩৩ বলে জানা যায়।