নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমি নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ওয়াহিদুজ্জামান পান্নার নামে এক চিকিৎসকের হাতে ৩ সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি বিভাগে এঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত সাংবাদিকরা হলেন, বাংলাদেশ টুডে ও দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার লালপুর প্রতিনিধি সজিবুল হৃদয়, দৈনিক মানবকন্ঠের লালপুর প্রতিনিধি নাহিদ হোসেন, সাপ্তাহিক পদ্মাপ্রবাহের ফটো সাংবাদিক বাবর আলী।
এবিষয়ে লাঞ্ছিত সাংবাদিকরা জানান, উপজেলার কসাইপাড়া গ্রামে সাইফুল ইসলাম ও দুলাল আলীর জমিজমা নিয়ে মারামারির ঘটনায় কয়েকজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গিয়ে দেখে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দুই পক্ষ পুনরায় মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় সংবাদকর্মীরা ভিডিও ধারণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান পান্না সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধাঁ দিয়ে ৩ দিকে রুমের মধ্যে ডেকে নিয়ে দরজা আটকিয়ে অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকদের পরিচয় পত্র ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এবিষয়ে লালপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম শাহাবুদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আর নাটোর জেলা সিভিল সার্জন রোজী আরা বলেন, “হাসপাতালে মারামারির ঘটনা ঘটলে বিষয়টি পুলিশ দেখবে। এসময় সরকারি হাসপাতালের বিনা অনুমতিতে ভিডিও ধারণ করা অন্যায়। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”