‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্ব, সমুচিত সিদ্ধান্ত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ বিশ্ব মহামারিকে সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে যাতে করোনা বাড়তে না পারে, সেজন্য ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের পয়েন্ট অব এন্ট্রিগুলোতে স্ক্রিনিং অব্যাহত রয়েছে। বিদেশফেরতদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোভিড প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ৩ কোটি ভ্যাকসিন আমদানির লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে তৃতীয়-পক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
করোনায় উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো থেকে জরুরি আপত্কালীন অর্থায়ন
সরকারি দলের এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময়ে কূটনৈতিক তত্পরতার কারণে আমরা উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর কাছ থেকে জরুরি আপত্কালীন অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে পেরেছি।
নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও
গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, সব ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উত্পাদনে তৃতীয়
সরকারদলীয় সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা সংসদে জানান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত সত্ত্বেও প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার নীতি গ্রহণ করে ফসল উত্পাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উত্পাদনে চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় হয়েছে। এছাড়া সবজি উত্পাদনে তৃতীয়, আম উত্পাদনে সপ্তম, আলু ও পেয়ারা উত্পাদনে অষ্টম স্থানে থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে কৃষি উন্নয়নে রোল মডেল।
২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ, দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীত
নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের ‘রূপকল্প-২০৪১’ সামনে রেখে ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১’-এর ভিত্তিমূলে রয়েছে দুটি প্রধান রূপকল্প। এক. ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। দুই. সোনার বাংলায় দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের কোনো বিষয়।
একই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০২৫ সাল নাগাদ ৮ দশমিক ৫১ শতাংশে উন্নীত করা এবং প্রবৃদ্ধির সুবিধাগুলো কীভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছানো যায় তার সুপারিশ করা হবেI
সুত্র :ইত্তেফাক