কুসলি, বকুল, নকশি, ভাপা, পাকুয়ান, রসপুলি, ত্রিভুজ, মরিচ, নারকেল, কামরাঙা, ডিমসুন্দরী, হৃদয়হরণ, খরগোশ, জামাই, বউ, পাখিসহ আরও বাহারি নামের পিঠা নিয়ে প্রথমবারের মত নাটোরের লালপুরে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে উপজেলা শিক্ষা অফিস এ আয়োজন করে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস জানায়, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, হরেক রকম পিঠার সাথে পরিচয় করে দিতে এ আয়োজন। এউৎসবে উপজেলার ১৪২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথভাবে ১১ টি স্টলে হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়েছেন।
এসময় পিঠা উৎসব পরিদর্শন করে লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন, ঐতিহ্যের সাথে আমাদের শেখরের সম্পর্ক। অথচ এপ্রজন্মের তরুণ-যুবরা বিদেশি সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য, সেই সাথে আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় ঘটাতে এই উৎসব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ১২ মাসে ১৩ পার্বনের দেশ। প্রতিমাসেই লেগে থাকা পার্বণের মধ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই পিঠা উৎসব। নতুন প্রজন্মকে এইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে, ছড়িয়ে পড়ুক নবান্নের ঘরে ঘরে।
এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাবণী সুলতানা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর প্রমূখ।