কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা বিরোধী অভিযানে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মুচনী শরণার্থী ক্যাম্পে টাওয়ার শিয়ালঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ র্যাব সদস্যরা হলেন, সৈনিক ইমরান ও করপোরাল শাহাব উদ্দিন।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের ইনচার্জ (এএসপি) শাহ আলম গণমাধ্যমকে জানান, বিকালে ইয়াবা বিরোধী অভিযানে গেলে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এতে দুই র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নয়াপাড়া মুচনী টাওয়ারের পাশে শিয়ালঘোনা এলাকায় ইয়াবার হাতবদল হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে সেখানে অবস্থান নেয় র্যাব-১৫ সিপিসি-২ এর সদস্যরা। ঘটনাস্থল হতে ডাকাত ও ইয়াবা কারবারি আনোয়ার সেলিম (৪০) এবং সোনাইয়াকে (৩২) আটক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এতে দুই র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। তবে, হাসপাতালে তাদের নাম এন্ট্রি করা হয়নি।
টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালের চিকিৎসক নাহিদ হাসান বলেন, বিকালে র্যাবের গাড়িতে করে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে আনা হয়। তাদের কোমরের পেছনে গুলির আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় চিহ্নিত কিছু ইয়াবা চোরাকারবারি ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নিয়ে ইয়াবা চোরাচালান, ছিনতাই, অবৈধ অস্ত্রের মজুদ, মুক্তিপণ আদায়সহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এতে ক্যাম্পের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক নেতা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদকে বার বার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ তথ্য জানতে র্যাব চালিত গ্রুপ গুলোতে ও বার বার নক করা হলেও সেখানে কোন উত্তর দেননি গ্রুপের এডমিনরা।
সুত্র: ইত্তেফাক/জেডএইচ