বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এলাকার মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত। তিনি ২০০৯ সালে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে নিজস্ব অর্থায়নে ৯ জন গৃহহীন মানুষের গৃহের ব্যবস্থা করেন। গত ২ যুগ ধরে প্রতিটা শীত মৌসুমে এলাকার শতশত শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। প্রতিটি ঈদুল ফিতরে তাঁর শুভাকাঙ্খিদের নূন্যতম ১ হাজার পিস পাঞ্জাবী ও অসহায়দের মাঝে যাকাতের অর্থ প্রদান করেন। ঈদুল আযহার দিনে এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সহস্রাধিক মানুষকে আপ্যায়ন করেন। ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত তাঁর ব্যক্তি মালিকানা বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ও বনপাড়া পৌর এলাকায় বসবাসরত সকল বাসিন্দাদের আউটডোরে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা নিরীক্ষায় শতকরা ২৫ ভাগ ছাড় এবং অন্যান্য রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষায় শতকরা ২০ ভাগ ছাড় দেন। এছাড়া ওই হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সকলের জন্য ৩ দিনের চিকিৎসা সেবা ফ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে তিনি নিজে কাঁধে পিঠে করে তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী ও হাসপাতালের কর্মচারীদের নিয়ে গৃহবন্দী কর্মহীন হাজার হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ওইসময় তিনি নিজেও করোনা আক্রান্ত হন তবে সহযোগিতা অবাহত থাকে। সে সময় এলাকার জনসাধারন তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা আখ্যা দেয়। তাঁর নিজের হাসপাতাল, পেট্রোল পাম্প ও বিদ্যালয়ে প্রায় ২ শতাধিক উচ্চ শিক্ষিত ও প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বেকার যুবক যুবতিদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেন। উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য এলাকার গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত আর্থিক অনুদান দেন। গত ১ যুগ ধরে সুপেয় পানির কষ্ট নিবারনে এলাকার অসংখ্য মসজিদ,মন্দির,পাঠাগার ও বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে নলকুপ স্থাপন করেছেন। বিগত ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় দূর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। এলাকার যুবসমাজকে মাদক, জঙ্গী ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জয়বাংলা সামাজিক আন্দোলন নামে একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। ওই সংগঠনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। লোকজনকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য ২০১০ সালে ভবানীপুর গ্রামে তাঁর নিজ জমিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ স্মৃতি পাঠাগার তৈরি করেছেন। এছাড়া প্রতিবছর এলাকার সহস্রাধিক সংখ্যালঘু হিন্দু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় দিবসের আগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এ ব্যাপারে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমি আমার সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সাধ্যমত অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। সমাজের বিত্তবান লোকদেরকে অনুরূপ কাজে এগিয়ে আসার জন্য আমি উদাত্ত আহবান জানাই।