নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রেমিকের লিঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ মুন্নি বেগম (২৪) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১২ টার দিকে উপজেলার জলশুকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ভুক্তভুগীর পিতা বিরাজ উদ্দিন বাদি হয়ে ঐ নারীকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছে।
প্রেমীকের নাম জহুরুল ইসলাম (৪০)। তিনি উপজেলার উপলশহর (সোনাপুর) গ্রামের বিরাজ উদ্দিনের পুত্র। তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল করেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মুন্নি বেগম উপজেলার উপলশহর গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী।
মামলা সুত্রে জানাযায়, মুন্নি বেগম ও জহুরুল ইসলাম প্রতিবেশী। সোমবার রাতে জহুরুল ইসলামকে মুন্নি তার বাবার বাড়ি উপজেলার জালশুকা গ্রামে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কৌশলে ধাড়ালো অস্ত্রো দিয়ে জহুরুলের লিঙ্গ কেটে দেয়। আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতী হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্নি বেগমের মা গুলজান বেওয়া বলেন, জহুরুল ইসলাম একজন মাদকাসক্ত। আমার মেয়েকে সে বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করত। আমার মেয়েকে ব্লাকমেইল করে কিছুদিন আগেও পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। বিরক্ত হয়ে কিছুদিন হলো আমার মেয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে আমার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। সোমবার রাতে আমার মেয়েকে তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করতে চাইলে ধস্তাধস্তিতে তার লিঙ্গ কেটে যায়।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, জহুরুল ইসলামের বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছে। মুন্নি বেগমকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে|