নাটোরের বড়াইগ্রামে দূর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ৪টি বাড়ির ১৩টি টিনের ঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নগর ইউনিয়নের মশিন্দা গ্রামে সাত্তার খান ও তার ছেলেদের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান সাচ্চু জানান, গভীর রাতে সাত্তার খানের বাড়ির ছাগলের চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙ্গে। পাশের বাড়ির ইমন আলী বের হয়ে দেখে, সাত্তার খানের ছাগলের ঘর সহ রান্নাঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তারা লক্ষ্যে করে, পাশাপাশি চারটি পরিবারের সবকটি টিনের ঘরেই বাহির থেকে কে বা কারা তালা দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে। উপস্থিত সকলেই ঘরের তালাগুলি ভেঙ্গে লোকজনকে জীবিত উদ্ধার করে। ইতোমধ্যে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ঘরগুলি পুড়ে সম্পন্ন ভষ্মিভূত হয়ে যায়। এতে ওই পরিবারের চারটি ছাগল, ধান, চাউল, আসবাবপত্র, তিনলক্ষ নগদ টাকা, ৫ ভরি সোনার গহনাসহ প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী শুক্রবারে আকবর খানের মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য্য করা ছিল। বিয়ের প্রস্তুতির জন্য আয়োজিত সকল টাকা পয়সা, চাউল, গহনা, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। ভুক্তভোগী নাজিম খান ও নাসির খান বলেন, কে বা কারা পরিকল্পিত ভাবে ওই পরিবারের সকলকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিটা ঘরের বাইরে তালা দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। স্কুল শিক্ষক সইমুদ্দিন খান জানান, এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে সাত্তার খান সকালে বড়াইগ্রাম থানায় একটি জিডি করেছেন।