বড়াইগ্রামে ভুয়া পরিচয়ে অবৈধভাবে বিনিময় সম্পত্তি বিক্রি করছেন এক ব্যাক্তি। এমনকি এ কাজে সাব-রেজিষ্ট্রারের যোগ সাজশে তিনি আব্দুল হাই সিদ্দিকী নামে ভুয়া পরিচয়ে এসব জমি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে তিনি অন্যান্য ভাইদের দলিলী সম্পত্তিও একই কায়দায় বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
শুক্রবার বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার ভাই ও ভাতিজারা এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লক্ষীপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আইয়ুব হোসেনের ভাই জিল্লুর রহমান, ছেলে আবু হানিফ ও ভাতিজা আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মন্তাজ আলী ১৯৫৪ সালে ভারত থেকে এদেশে এসে বিনিময় সুত্রে জমি কিনে বসবাস করে আসছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তার প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলেকে এক একর করে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলেকে একত্রে ৪.২২ একর জমি দানস্বত্ত্ব দলিল করে দেন। এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি মারা যান। পরবর্তীতে তার প্রথম স্ত্রীর বড় সন্তান গোলাম পাঞ্জাতন নিজ বাড়িতে খুন হন।
স্ত্রী-সন্তান না থাকায় গোলাম পাঞ্জাতনের অংশের সম্পত্তি তার সহোদর ভাই রুপচাঁদ ভোগদখল করে আসছেন। নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে বিনিময় সম্পত্তির খাজনা-খারিজ ও বিক্রি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে বনপাড়া ভুমি অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রারের সহায়তায় রুপচাঁদ তার জমি অবাধে বিক্রি করছেন। এমনকি এসব জমি বিক্রিতে তিনি আব্দুল হাই সিদ্দিকী নাম ব্যবহার করে দলিল রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন। কিন্তু মৃত মন্তাজ আলীর আব্দুল হাই সিদ্দিকী নামে কোন সন্তান নেই। একই সঙ্গে এসব জমির বাটোয়ারা না হওয়ায় কথিত আব্দুল হাই সিদ্দিকী মৃত মন্তাজ আলীর অন্যান্য ছেলের অংশের জমিও গোপনে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এতে জমির দখল নিয়ে সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার ফলশ্রুতিতে সংঘাত-সংঘর্ষসহ প্রাণহানীর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই মিথ্যা পরিচয়ে অবৈধভাবে বিনিময় সম্পত্তি বিক্রি বন্ধ করাসহ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।