বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে আগামী নগর ইউপি নির্বাচনী নিজের প্রার্থীতা যাইয়ের গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছে জুলফিকার আলী মিঠু (৩৫) নামের নগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। শনিবার রাতে উপজেলার পাঁচবাড়িয়া নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জুলফিকার আলী মিঠু উপজেলার নিতাইনগর গ্রামের রিয়াজ প্রামানিকে ছেলে ও নাটোর কোর্টের শিক্ষানবিশ এ্যাডভোকেট। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, জুলফিকার আলী মিঠু নগর ইউনিয় পরিষদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা যাচাইয়ের প্রচারণা করা শেষে পাঁচবাড়িয়া নতুন বাজারে বসে চা পান করছিল। হঠাৎ ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালুর ব্যাক্তিগত সহকারী ধানাইদহ গ্রামের রসূলের ছেলে মোহন (৩০) এর নেতৃত্বে কয়েন গ্রামের জমশেদের ছেলে ফারুখ (৩৫) পাচবাড়িয়া গ্রামের আবুল খানের ছেলে আলী (৩০), মহেশপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে সুমন (৩২) গেদু মিয়ার ছেলে মিঠু (৩৫) সহ ১৫ থেকে ২০ জন মোটর সাইকেল যোগে এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিঠুর উপর অতর্কীত হামলা করে। হামলায় মিঠুসহ বেশ কিছু সমর্থক আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জুলফিকার আলী মিঠু বলেন, আগামী নির্বাচনে যাতে আমি প্রার্থী হতে না পারি সে জন্য চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু নির্দেশে আমার উপর এই হামলা করা হয়েছে।
মোহন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি অফিস রুমে বসে ছিলাম।
নিলুফার ইয়াসমিন ডালু বলেন, আমি পাবনায় ছিলাম। ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নাই।
বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ পরিদর্শক দিলিপ কুমার দাস বলেন, এ বিষয়ে কেই অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।