নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাবের কারনে অসহায়, দিনমজুর মানুষের মাঝে ত্রান পৌছে দেওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর পক্ষে ত্রানের তালিকা তৈরীর করায় উজ্জল হোসেনকে (২২) পিটিয়ে জখম ও তার মা রুপসী বেওয়াকে (৬০) লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের তেলো গ্রামে উজ্জল হোসেনের নিজ বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। উজ্জল হোসেন উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের তেলো গ্রামের মৃত সাইফুল মোল্লার ছেলে ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগে সভাপতি।
উজ্জল হোসেন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে ত্রান বিতরনের জন্য আমি একটি তালিকা তৈরা করতে ছিলাম। বুধবার সন্ধায় হঠাৎ করে আমার বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খেচুর ছেলে পিয়াসের নেতৃত্বে শুভন. রকি, গোলাম সাকলাইন শুভ, সাদ্দাম, সম্রাট , স্মরণ, ইয়াহিয়া, ইউপি মেম্বার বাবুসহ ১৫ থেতে ২০ জন এসে আমাকে মারপিট শুরু করে। তারা আমাকে জি আই পাইপ, হকিষ্টিক ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আহত করে। আমার মা এগিয়ে গেলে লাঞ্চিত ও অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরো বলেন, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে ছাত্রলীগ নেতা হয়ে ত্রানের তালিকা তৈরী করতে পারব না। কোন দেশে বসবাস করি আমরা।
পিয়াস বলেন, তার বাবাকে নিয়ে মিথ্যা, ভিভ্রান্তী মূলক কিছু তথ্য ফেসবুকে লেখার কারনে কিছুটা উত্তম মাধ্যম দেওয়া হয়েছে।
তবে তাকে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা না করে মারপিট করার কারন জানতে চাইলে কোন কথা বলেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খেচু বলেন, সে একটা মাদ্রক সেবনকারী। আমার বিরুদ্বে মিথ্যা, ভিভ্রান্তী মূলক কিছু তথ্য ফেসবুকে লেখার কারনে এলাকা বাসী কিছু চর থাপ্পর দিয়েছে। এর বেশী কিছু আমি জানিনা।
উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে আমার নিজ তহবিল থেকে ত্রান দেওয়ার জন্য চান্দাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদককে তালিকা করতে বলে ছিলাম। তারা ছাত্রলীগের নেতা উজ্জল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়। চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার তদ্রন্ত করে সুষ্ঠ বিচার চাই।
বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক দিলিপ কুমার দাস বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
সূত্র: নারদ বার্তা