মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বোরো মৌসুমে ব্রি-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেছে। ফসলের মাঠে ধান চিটা হয়ে গেছে। কৃষকরা এই ব্রি-২৮ ধান চাষ করে এখন বিপাকে । অনেক কৃষক নষ্ট হওয়া ধান গরুর জন্য কেটে নিয়ে যাচ্ছেন, অনেকে আবার জমিতেই ফেলে রেখেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপণ না করতে কৃষকদের বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক কৃষক দোকান থেকে বীজ কিনে নিয়ে এই ধান চাষ করেছেন।
জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১১ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ ধান আবাদ হয়েছে ২৬৫১ হেক্টর জমিতে। উপজেলার নোয়াগাও, ইছবপুর, রাজাপুর, উত্তর ভাড়াউড়া, কালাপুর, সিরজনগর ও লামুয়া গ্রামে ব্রি-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করে মাঠের ধান চিটা হয়ে গেছে।
লামুয়া গ্রামের কৃষক আবদুল মজিদ বলেন, তিনি দোকান থেকে ব্রি-২৮ ধানের বীজ কিনে এক বিঘা জমি চাষ করে ছিলেন। এখন ধান চিটা হয়ে গেছে। তিনি জমিতে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ করে ছিলেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রকেন্দ্র শর্মা জানন, মাঠ থেকে প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করেছে। এক মাস আগেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। তখন আমরা কৃষকদের এ রোগ থেকে উত্তোরণের পরামর্শ দিয়ে ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় মাঠ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ব্রি-২৮ অনেক পুরাোনো একটি জাত। কৃষকদের এটি চাষ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ব্রি-২৮ এর পরিবর্তে ব্রি-৮৮ ও ৮৯ চাষের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দোকান থেকে বীজ কিনে চাষ করতে গিয়ে কিছু কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হবে। সরকারের কোনো বরাদ্দ এলে, তাদের সহায়তা করা হবে।