নাটোরের লালপুরে সৈকত ইসলাম (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এঘটনায় ওই তরুণীর মা লালপুর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সৈকত উপজেলার ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বান্ধবীর বড়ভাই হলেন অভিযুক্ত সৈকত। বান্ধবীর সাথে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সুবাধে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সৈকতের খালার বাড়ী বনপাড়াতে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্কে জড়ায়। পরবর্তীতে সৈকত ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে আপত্তি জানালে গত ১৬ মে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভোক্তভোগীর মা লালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সৈকত ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সৈকতের বাবা মাসুদ রানা ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, “আমার ছেলে এসব কিছু করে নি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্ত করছে।”
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”