চারদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে আজ শনিবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও দেশে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজ। এরইমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে এসেছে ৭ টি ট্রাক।
সোনা মসজিদ দিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাতটি ট্রাকে ১৯৯টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে। ট্রাক চালকরা জানান, এখনও ভারতের বন্দরে তিনশ’র বেশি ট্রাক আটকে আছে। কয়েকদিন ট্রাকের পেঁয়াজ আটকে থাকায় গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন পাইকাররা। শুল্ক কর্মকর্তা জানান, এগারটার পর থেকে এই বন্দর দিয়ে একে একে ঢুকতে থাকে পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো। এসব ট্রাকে প্রায় ১৫০ টন পেঁয়াজ আছে বলে জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে খালাস কার্যক্রম। এদিকে, প্রবেশের অপেক্ষায় আছে হিলি স্থল বন্দরের ট্রাকগুলোও। এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ঢোকার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর আগে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক চিঠিতে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ওই চিঠির বরাত দিয়ে পেঁয়াজ আমাদানীকারক হারুনুর রশিদ জানান, আগের খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে গেল রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজই প্রবেশের অনুমতি পাবে। এসময় পর্যন্ত কি পরিমাণ পেঁয়াজের টেন্ডার হয়েছে নিশ্চিতভাবে তা জানা না গেলেও তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত ২শ’ পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক। গরমের কারণে এসব ট্রাকের পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিপরীতে যোগান ঠিক রাখতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন ঘোষণা আসতে না আসতেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের বাজার। এক রাতের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকার আড়তগুলোতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। অনেক আড়তদার আবার বিক্রিও বন্ধ করে দেন।
সুত্র: ইত্তেফাক/এসআই