নাটারের বাগাতিপাড়ায় চুরানব্বই বছরের এক বৃদ্ধা জীবিত থাকলেও তাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযাগ পাওয়া গেছে। ভাতা বন্ধ হয়ে পড়ায় শয্যাগত অসুস্থ মায়ের ঔষধের টাকা জোগাড় করা নিয়ে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালানা আব্দুল খালেক এখন বিপাকে পড়েছেন। ভুক্তভোগী বৃদ্ধার নাম জোবেদা বেগম। তিনি উপজলার পাঁকা ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামর মৃত ইসমাইলের মেয়ে এবং একই এলাকার মৃত খোকার স্ত্রী।
জোবেদা বেগমের ছেলে আব্দুল খালেক জানান, প্রায় ১২ বছর ধরে তার মা বয়স্ক ভাতা পাছিলেন। কিন্তু গত রমজান মাস থেকে বিকাশ একাউন্টে বয়স্ক ভাতার টাকা দেওয়ার কথা জানানোর পর থেকেই আর টাকা পাননি। পরপর দুই দফার টাকা না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে মায়ের পক্ষ থেকে তিনি অফিসে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন নথি অনুযায়ী তার মা মৃত। সে কারণে তার মায়ের বয়স্ক ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। সে সময় অফিস থেকে তাকে মৃত্যু সনদ নিয়ে দুই মাসের বকেয়া উত্তালন করার পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ সমাজসেবা অফিসে ধরনা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। একদিকে দিনমুজুরের কাজ করে সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খাছেন, অন্যদিকে ভাতার টাকা বন্ধ হয়ে পড়ায় তিনি নিয়মিত মায়ের ঔষধ কিনতে পারছেন না। জীবিত থাকার পরও কিভাবে তার মাকে মৃত দেখানো হলো এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এবিষয়ে অসুস্থ বৃদ্ধা জোবেদা বেগম বলেন, তাকে মৃত দেখিয়ে আর সরকারি টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ঔষুধ কিনতে না পেরে ধীরে ধীরে বিছানাগত হয় পড়েছেন।
এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ভুক্তভাগীর ভাতা প্রাপ্তির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।