বড়াইগ্রামে বিয়ের দাবিতে তিনদিন যাবৎ প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক প্রেমিকা (২১)। ওই প্রেমিকা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেমিক বড়াইগ্রামের নগর গ্রামের রায়হান আলী ওরফে শুভ’র বাড়িতে অবস্থান নেয়। রায়হান ওই গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন বিষয়টি শুনে ওই বাড়িতে ভীড় করেছেন। এ সময় অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়েও তাকে ওই বাড়ি থেকে সরাতে পারছেন না রায়হানের স্বজনরা। এদিকে, ঘটনার পর থেকে প্রেমিক রায়হান ও তার পিতা জুলহাস বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন।
জানা যায়, রায়হান পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এবং মেয়েটি পাশের ইপিজেডে কাজ করতো। এ সময় তাদের মধ্যে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে রায়হানের পিতামাতা মেয়েটির পিতার বাড়িতে গিয়ে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য তাকে দেখেও আসেন এবং ঘরবাড়ি সেরে ৬ মাস পর বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। এরপর রায়হান ঈশ্বরদীতে মেয়েটিকে একটি বাসা ভাড়া করে দেন। মেয়েটি সেখানে বসবাস করা কালে রায়হান মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে থাকতো।
এদিকে, ৬ মাস সময় অতিক্রম হয়ে গেলে মেয়েটি রায়হানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এরপর রায়হান চাকরী ছেড়ে বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বললেই রায়হান তার মোবাইলে ধারণ করা নিজেদের একান্তে সময় কাটানোর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায় বলে জানায় মেয়েটি। তাই সর্বশেষ কোন উপায় না পেয়ে মেয়েটি শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রায়হানের এক স্বজন জানান, আমরা প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিয়ে বিয়ে করাতে রাজি ছিলাম, কিন্তু মেয়েটির আগে একবার বিয়ে হয়েছে শুনে আমরা পিছিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে মেয়েটির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি প্রথমেই রায়হানকে আমার প্রথম বিয়ের কথা জানিয়েছি, সে সব কিছু জেনেই আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, বিষয়টি শুনেছি তবে তারা ঈশ্বরদী থানা এলাকায় থাকাকালে সব ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে মেয়েটির পিতামাতাকে সেখানেই মামলা করার কথা বলেছি। পরবর্তী ঈশ্বরদী থানা পুলিশ যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবে সহযোগিতা করবো।