অবশেষে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সেই ছকিতন বেগম।শনিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থায় তার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি তাকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়েছে। ছকিতন বেগমের বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়নের মৃত বাদশা শেখের স্ত্রী। তার বয়স শত বছর পেরিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। সমাজ সেবা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বয়স্ক ভাতা পেতে নারীর জন্য বয়স ৬২ বছর ও পুরুষের জন্য ৬৫ বছর হওয়া প্রয়োজন।
সে হিসেবে ছকিতন বেগমের আরো আগেই বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়ার কথা ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ওনার (ছকিতন) সম্পর্কে আগে কিছু জানতাম না,একজন সাংবাদিকের ফেসবুক পেজে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর আমার নজরে আসে।
এরপর বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড ও নগদ কিছু অর্থ দেওয়া হয়।এছাড়া বড়াইগ্রাম উপজেলায় শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। কেউ বাদ যাবে না বয়স্ক ভাতা সুবিধা থেকে। কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, আমাদের জানালে তাকে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে। বয়স্ক ভাতার কার্ড আর নগদ টাকা পেয়ে খুশি ছকিতন বেগম ও তার পরিবার।
তারা বলেন আমার মায়ের কষ্ট দেখে সাংবাদিকরা তাকে নিয়ে নিউজ করার পর উপজেলা চেয়ারম্যান বয়স্ক ভাতা কার্ড দিয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি। ছকিতনের ছেলের বউ বলেন, মায়ের বয়স্ক ভাতা আর সরকারি সুযোগ সুবিধার জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার আর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গেছি।
কোনও সুযোগ-সুবিধা পাইনি। আজ আপনাদের মাধ্যমে আমার মায়ের একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড হলো, এতে আমি অনেক খুশি। বড়াইগ্রাম উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সোহেল রানা বলেন,ছকিতন বেগমের ব্যাপারে আগে জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জেনে তার খোঁজ খবর নিয়ে চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ডটি দেওয়া হয়েছে