প্রেমিকের সাথে পালিয়ে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক এসএসসি পরীক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে তিন জন যুবক ও দুইজন স্বামী-স্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকার একটি ভারা বাসায় রাতের বেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নাটোর সদর থানার পুলিশ অভিযানে নামে। প্রথমে ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে মিথিলা ও মৃদুলকে শহরের হাফরাস্তা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন যুবককে আটক করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি মিয়া(২৮), মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি(২২), আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান(২৮)। এছাড়াও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে শহরের হাফরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আবির (২১) নামের এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরিক্ষার্থী প্রেমিকাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে নাটোর আসেন। পরে স্থানীয় এক বন্ধু বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। ওই দম্পতি রনি(২৮), রকি(২২) ও সোহানকে(২৮) সেখানে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় তারা সংঘবদ্ধভাবে ওই ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে ওই স্কুল শিক্ষার্থী এবং তার প্রেমিক কৌশলে নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে।
রাতেই ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে মিথিলা ও মৃদুলকে শহরের হাফরাস্তা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দীন জানান, আমরা ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযানে নামি। ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিন যুবককে আটক করা হয়। ওই যুবকরা শহরের চিহিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক কাররবারি। তাদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতি মধ্যেই ৫ জন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষ পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।