নাটোর প্রতিনিধি :
চলতি বছরে সারাদেশে কঠোর লকডাউন থাকায় যখন সাধারন মানুষের ঘরে থাকার কথা তখন নাটোরে শুরু হয়েছে বোরোধান কাটার মৌসুম। আর এসব ধান কাটতে জেলার বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের যেতে হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া শ্রমিকরা বাইরে যেতে পারবে না এমন আইনি আদেশ জারি করেন সরকার। আর এই আইন বাস্তায়নে মাঠে নিরোলস কাজ করছেন পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
গত ২০ এপ্রিল “বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়াসহ অনলাইন পত্রিকায় ★নাটোরে কৃষি শ্রমিক পরিবহনে হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি★ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার হয়। যে সংবাদটি হাইওয়ে পুলিশের মান ক্ষুন্ন করে সাধারন মানুষের চক্ষুরোচক করায় প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করছেন নাটোরের ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজওয়ানুল ইসলাম।
ঘটনাটি সম্পর্কে ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজওয়ানুল ইসলাম জানান- সরকারী আইন অনুযায়ী এ বছর শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে যেতে হলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি পত্র এবং বাসে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু হঠাৎ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, নসিমন সহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল দেখে আমরা আইন প্রয়োগ করি। আর এই ঘটনার সুযোগ নিয়ে সংবাদকর্মীরা উপরে উল্লেখিত সংবাদটি প্রচার করেন।
কিন্তু পরে আমাদের হাইওয়ে কতৃপক্ষের নির্দেশনায় সাধারন শ্রমিকের চলাচলের সুবিধার্থে যানবাহন শিথিল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে পত্রিকায় যে চাঁদা দাবির কথা উল্লেখ রয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। পুলিশের মান ক্ষুন্ন করায় আমরা এ ধরনের সংবাদের প্রতি নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।