নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া পৌরসভা ও মাঝগাঁও এবং জোয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বনপাড়া পৌরসভায় নৌকা প্রতীক নিয়ে তৃতীয় বারের মতো মেয়ের নির্বাচিত হয়েছেন কে. এম জাকির হোসেন এবং মাঝগাঁও-এ নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল ও জোয়াড়ী ইউনিয়ন স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) আকবর আলী বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮.৩০ মি: থেকে বিকেল ৪.৩০ মি: পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে বনপাড়া পৌরসভা ও মাঝগাও এবং জোয়াড়ী ইউনিয়নে এক যোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে ইভিএম মেশিনের ধীর গতির কারনে অনেক কেন্দ্রেই নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট গ্রহণ করতে দেখা গেছে। ইভিএম মেশিনে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ না মেলা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, ভোটাদের সঠিক ভাবে ভোট প্রদান করতে না পাড়া প্রভৃতি কারণে ভোট গ্রহণে ধীর গতির অভিযোগ ছাড়া কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বনপাড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক জানান, ১১৮৭৯ ভোট পেয়ে কে.এম জাকির হোসেন(নৌকা) বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার(আ.লীগ, বিদ্রোহী) নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ৫৮৯০ ভোট পেয়েছেন।
মাঝগাঁও এবং জোয়াড়ী ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, মাঝগাঁও ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল(নৌকা) ৭৭৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলিম(বিএনপি) পেয়েছেন ৩৭৯৫ ভোট। এ ইউনিয়নে ৭৬.০৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অপরদিকে জোয়াড়ী ইউনিয়নে ৯২৬৯ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আকবর আলী(বিএনপি) বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদ(নৌকা) পেয়েছেন ৭৩৯১ ভোট। এছাড়াও আ.লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছেন ৫৯০৭ ভোট। ৭২.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে এ ইউনিয়নে।