পুঠিয়া(রাজশাহী) প্রতিবেদক:
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী আল মামুন খানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হওয়ায় এক বিবৃতিতে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজশাহী বিভাগ ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় এই শুভেচ্ছা জানান দলের নেতারা।
রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সাঈদ চাঁদ তার বার্তায় পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র হিসেবে আল মামুনকে বিজয়ী করায় পৌরবাসীর সকল জনগণ ও ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই বিজয় গণতন্ত্র উদ্ধারের বিজয়। তিনি বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।’
এদিকে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আল মামুনকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির উপদেষ্ঠা ও রাসিক সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও পুঠিয়া দূর্গাপুরের দু’বারের সাবেক সাংসদ ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাড. নাদিম মোস্তফা।
এছাড়াও, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী মহনগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. তোফাজ্জ্ল হোসেন তপু ও সাবেক সাধারন সম্পাদক এড.মতিউর রহমান মন্টু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাষীশ রায় মধু ও আবু বাক্কার সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য মাহামুদা হাবিবা, পুঠিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিনুল হক মিন্টুসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, বিএনপির প্রার্থী আল মামুন খান মোট ৫৯২০ ভোট পেয়ে ৭৬০ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে আ’লীগ দলের মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি পেয়েছেন ৫ হাজার ১৬০ ভোট।
পৌরসভার মোট ১৬ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৬০ জন ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৩ জন। মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১২ হাজার ২৮৮ জন (৭৩.৮৮ শতাংশ )। তবে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশী।