এমনই এক অভিনব পদ্ধতির কথা বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এর সহযোগী অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার রায়।
তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে করোনাভাইরাস এর গঠন প্রণালীর উপর বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ করে এমনই একটি পদ্ধতির কথা বলেছেন। যদিও এই পদ্ধতিটি তিনি ২০২০ সালের ২০ মে তারিখে এক ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণও তাদের গবেষণায় এই পদ্ধতি সুফলের কথা বলছেন।
তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকার চেয়ে ঔষধের ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর গঠন প্রণালীর উপর বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ করে লিখেন,
“আসুন জেনে নিই করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) সম্পর্কে সাধারন তথ্য:
এই ভাইরাস এর শরীর দুইটি বড় উপাদান দিয়ে তৈরি ১. প্রোটিন ২. নিউক্লিক এসিড
১.প্রোটিন সংক্রান্ত তথ্য : কোটি কোটি বা অসংখ্য এমিনো এসিড একত্রে হয়ে একটি বৃহৎ অনু তৈরি হয়। এই বৃহৎ অনুকেই প্রোটিন বলা হয়। আপনারা সাইকেলের চেইন যেটা দেখেন সেটা কিন্তু অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চেইনের বা ইউনিট এর সমষ্টি। মনে করুন এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউনিট হলো এমিনো এসিড আর সাইকেলের বড় চেইন যেটা প্যাডেলের উপর দিয়ে ঘুড়ে সেই টোটাল চেইনটা হলো প্রোটিন।
এবার বলি এমিনো এসিড কি?
এমিনো এসিড হলো একটা যৌগ যে যৌগের মধ্যে একটি জৈব এসিড কার্বক্সিলিক গ্রুপ এবং একটি ক্ষারকীয় গ্রুপ এমিনো গ্রুপ থাকে। এই এমিনো এসিড এক ব্যতিক্রম চরিত্রের। শরীর বা কোন জায়গার ক্ষারকীয় পরিবেশে যদি এই এমিনো এসিড থাকে তবে এই এমিনো এসিড এসিডের মত কাজ করে। আবার শরীর বা কোন জায়গার এসিডিয় পরিবেশে যদি এই এমিনো এসিড থাকে তবে এই এমিনো এসিড ক্ষারকের মত কাজ করে। আবার যদি কোন নিরপেক্ষ পরিবেশে এই এমিনো এসিড থাকে তাহলে এই এমিনো এসিড নিরপেক্ষ আচরণ করে থাকে অর্থাৎ এসিড বা ক্ষারক কোনটার মতই কাজ করে না।
২.নিউক্লিক এসিড সংক্রান্ত তথ্য
নিউক্লিক এসিড একটি যৌগ। এই যৌগের তিনটি পার্ট আছে। একটি এসিডিয় ফসফেট পার্ট, একটি কার্বোহাইড্রেট পার্ট এবং একটি ক্ষারকীয় পার্ট।
এসিডিয় ফসফেট পার্ট থাকার জন্য এই নিউক্লিক এসিডকে মুলত এসিড বলা হয়। এই ফসফেট পার্ট নিউক্লিক এসিডের দুইটি কার্বোহাইড্রেট রাইবোজ পার্টকে একত্রিত করে রাখে। এই ফসফেট পার্টে একটি নেগেটিভ চার্জ থাকে। এই নেগেটিভ চার্জে কোন ধাতু যেমন সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি ধাতু যুক্ত হতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট পার্ট : নিউক্লিক এসিডের মধ্যে যে কার্বোহাইড্রেট পার্ট আছে তার নাম রাইবোজ। রাইবোজের এর এক্সটা অরডিনারি বৈশিষ্ট্য আছে। যে নিউক্লিক এসিডের রাইরোজ পার্টের মধ্যে সকল পরমানু ঠিক থাকে সেই নিউক্লিক এসিডের নাম RNA এবং যে নিউক্লিক এসিডের রাইবোজ পার্টের মধ্যে একটি অক্সিজেন পরমানু কম থাকে সেই নিউক্লিক এসিডের নাম DNA. নিউক্লিক এসিডের ফসফেট গ্রুপ দুইটি রাইবোজকে দুইটি বন্ধনের মাধ্যমে একত্রিত করে রাখে।
ক্ষারকীয় পার্ট : নিউক্লিক এসিডের ক্ষারকীয় পার্ট একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ। বিভিন নিউক্লিক এসিডে বিভিন্ন প্রকার ক্ষারকীয় পার্ট যুক্ত হয়ে বিভিন্ন নামের ভাইরাস তৈরি করে। যেমন মনে করুন এডিনিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, মনে করুন গুয়ানিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম সার্স ভাইরাস, মনে করুন থায়ামিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম ইবোলা ভাইরাস, মনে করুন সাইটোসিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ । আবার এই ক্ষারকীয় পার্টের আবার কোন একটি পরমানুর পার্থকের কারনে বিভিন্ন টাইপের ভাইরাস তৈরি হয় যেমন এ টাইপ ভাইরাস, বি টাইপ ভাইরাস, সি টাইপ ভাইরাস ইত্যাদি।”
এ পর্যায়ে মি. বিদ্যুৎ কুমার রায় লিখেন,
“এখন আসুন দেখি ভাইরাস ধ্বংসের কৌশলটা কি?
কৌশলটা হলো ভাইরাস যেহেতু প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিডের তৈরি তাই প্রোটিন বা নিউক্লিক এসিডের যে কোন একটিকে ধ্বংস করতে হবে অথবা এদের কার্যকারিতা ধ্বংস করতে হবে। তাহলেই ভাইরাস ধ্বংস হবে।
প্রোটিনকে তিনভাগে ধ্বংস করা যায় বা ভাঙ্গা যায় ১. প্রোটিনের সাথে এসিড এবং পানির বিক্রিয়ায় মাধ্যমে ২.প্রোটিনের সাথে ক্ষারক ও পানির বিক্রিয়ার মাধ্যমে। ৩. প্রোটিনের সাথে এনজাইম ও পানির বিক্রিয়ার মাধ্যমে যা শরীরের মধ্যে আপনা আপনি ঘটে।
আমাদের দেহেরপ্রোটিনকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য ১ এবং ২ নং পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সবচেয়ে কার্যকরি এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ২ নং পদ্ধতি। কারন ১ নং পদ্ধতি অপেক্ষা ২ নং পদ্ধতিতে অল্প তাপেই প্রোটিনকে ভাঙ্গা যায়। আবার ২ নং পদ্ধতি অনুযায়ী প্রোটিন ভাঙ্গার জন্য ক্ষারক প্রয়োগ করলে তা নিউক্লিক এসিডের কার্যকরি ক্ষমতাকে নস্ট করে দিতে পারে।”
সম্ভব্য ঔষধের পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি লেখেন,
“এবার আসুন কিভাবে প্রোটিনকে ভাঙ্গব এবং নিউক্লিক এসিডের কার্যকারিতাকে নস্ট করে দিব।
সাম্ভাব্য ঔষধের সাজেশান
আমরা যদি সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মত ক্ষারক খেতে পারতাম তাহলে হয়ত করোনা ভাইরাসের প্রোটিনকে ধ্বংস করতে পারত যদিও পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত বলা যায় না কিন্তু তারপরেও সোডিয়াম হাইডোক্সাইড খাওয়ালে জিহবা গাল সব সাথে সাথে পুড়িয়ে যেত। তাই কোন কেমিক্যাল সরাসরি খাওয়া যায় না কারন কোন কেমিক্যালই খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ না বরং সব কেমিক্যালই শরীরের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকর।এজন্য করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করার পরীক্ষামুলক কাজ করার জন্য নিচের প্রসেস কার্যকরি হতে পারে। আমরা জানি খাবার চুন একটি ক্ষারক। এটি সরাসরি খাওয়া না গেলেও পানের সাথে খাওয়া যায়।
তাই আমরা যদি পানের সাথে খর, জর্দা বাদ দিয়ে শুধু পানের সাথে সামান্য চুন লাগিয়ে করোনা রোগিকে খাওয়াতে পারি তাহলে হয়ত প্রাথমিক ভাবে গলায় অবস্থিত করোনা ভাইরাস মারা যেতে পারে। তবে করোনা রোগিদের যদি সকালে একটি এবং বিকেলে একটি পান এর সাথে চুন লাগিয়ে খাওয়ানো যায় এবং তারপরে যদি করোনা টেস্ট করে করোনা ভাল হয়ে গেছে এই খবর পাওয়া যায় তাহলে এই চুনই হতে পারে করোনা রোগীর উৎকৃষ্ট উষধ। আর পান এবং চুন খেলে শরীরের জন্য কোন ক্ষতিকর তেমন কিছুই হবে না। তাই এই সামান্য চিন্তাই হতে পারে পৃথিবীর জন্য আশির্বাদ।”
বিদ্যুৎ কুমার রায় এর ফেসবুক পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:
দেখুন তত্ত্বটা আমি দিয়েছিলাম ২০২০ সালের ২০ মে। আর কুস্টিয়ার বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ২০২১ সালে এসে বিদ্যুৎ কুমার রায় এর তত্ত্বের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন।
আমার আবিস্কার করা করোনা রোগের ঔষধ এর তত্ত্ব ভুল হতে পারে তবে আমার বিষয়টি নিয়ে বা করোনা সংক্রান্ত যে কোন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের রিসার্স করার অনুরোধ করছি। হতে পারে বাংলাদেশের আবিস্কার বিশ্বের জন্য এক দিক নির্দেশনা।আর আমার কোন তথ্যে ভুল থাকলে কাইন্ডলি সেই ভুলটা ধরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
জাপানের এন এইচ কে টেলিভিশন বেসরকারিভাবে করোনা ভাইরাসের ঔষধ আভিগান এবং ওরভেসকো আবিস্কারের কথা জানিয়েছে যেটা বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করে যদি দেখা যায় এই ঔষধে করোনা রোগি সুস্থ হয়ে যাচ্ছে তবে জাপান বাণিজ্যিকভাবে সেই ঔষধ তৈরি করে সারা বিশ্বে সরবরাহ করবে। করোনা রোগি সুস্থ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের বেক্সিমকো বিকন ফার্মা আভিগান তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ করে ফেলেছে। বিষয়টা আশার বাণী। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিকন আর বেক্সিমকো কোন প্রসেসে তৈরি করছে তা আমি জানি না। এই প্রোসেস জানা থাকলে আমার গবেষণা করা সহজ হতো। ঔষধ তৈরি হয়ে গেলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আমার মা বলেছিল সবাই ঔষধ তৈরি করছে তুইও তৈরি কর। শুরু হলো আমার লেখাপড়া। আমার বন্ধু নৌবাহিনীর সৈনিক এস রানা আহমেদ নান্নুর সাথে সামাজিক দুরত্ব মেইনটেইন করে চলল রেগুলার আলোচনা। আমার কলিগ তাঃ শাঃ শামীম সিদ্দিকীস্যার আমাদের সাথে যুক্ত হলো। তিনি ইন্টারনেট থেকে প্রচুর তথ্য পাঠাতে শুরু করলো। আমার ছাত্র Sumon Sarower ও আমাকে অনেক তথ্য পাঠাতে শুরু করল। আমরা সবাই মিলে চিন্তা করতে করতে যখন দিশেহারা তখন আমার ছাত্র সুমন সরোয়ার বলল স্যার চুনের উপর এই ভাইরাসের ইফেক্টটা একটু দেখা যাক।শুরু হলো আবার নতুন করে গবেষনা।
আমরা বৈজ্ঞানিক যুক্তি অনুযায়ী জানি যে কোন ঔষধ তৈরি করার পর সেটা রোগিকে খাওয়ানো হয় তারপরে দেখা হয় রোগি বাচলো নাকি মরলো, রোগি সুস্থ হলো নাকি রোগ বেশি হলো, নাকি রোগ সেরকম থাকল। এটাকে বলা হয় ক্লিনিক্যালি ট্রায়াল। যে ঔষধ ক্লিনিক্যালি ট্রায়াল এর সময় রোগিকে সুস্থ করে তোলে সেই ঔষধ অনেক বেশি করে তৈরি করে বাজারে বিক্রয় করা হয়।
Immune system মানে এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেমে রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা তৈরি হয় এবং শরীরে ভাইরাস আক্রমন করতে পারে না।
এখন প্রশ্ন হলো কোন রোগের যখন টীকা দেওয়া হয় তখন সেই টীকা রোগির দেহে এক প্রকার পদার্থ তৈরি করে সেই নতুন পদার্থকে বলা হয় এন্টিবডি।
ধরুন পোলিও রোগের টীকা কারো শরীরে দেওয়া হইল তখন ঐ টীকা পোলিও রোগের জন্য শরীরের মধ্যে এন্টিবডি অর্থাৎ একটি পদার্থ তৈরি করে রাখল। পরবর্তিতে কোন পোলিও রোগের জীবানু যদি শরীরে প্রবেশ করতে থাকে তাহলে ঐ এন্টিবডি পোলিও রোগের জীবানুকে ধ্বংস করে ফেলে। এভাবে টীকা কাজ করে। টীকা একটি প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা। তবে এই টীকা আবিস্কার করতে হয় দীর্ঘদিন গবেষণা করার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটা অনুমোদন দেয়। বর্তমানে তাই করোনা রোগের জন্য টীকা আবিস্কার করার চেয়ে ঔষধ আবিস্কার করা বেশি সহজ। তাই করোনা রোগের ঔষধ আবিস্কার করার আমার এক ক্ষুদ্র প্রচেস্টা।
আসুন জেনে নিই করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) সম্পর্কে সাধারন তথ্য
এই ভাইরাস এর শরীর দুইটি বড় উপাদান দিয়ে তৈরি ১. প্রোটিন ২. নিউক্লিক এসিড
১.প্রোটিন সংক্রান্ত তথ্য : কোটি কোটি বা অসংখ্য এমিনো এসিড একত্রে হয়ে একটি বৃহৎ অনু তৈরি হয়। এই বৃহৎ অনুকেই প্রোটিন বলা হয়। আপনারা সাইকেলের চেইন যেটা দেখেন সেটা কিন্তু অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চেইনের বা ইউনিট এর সমষ্টি। মনে করুন এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউনিট হলো এমিনো এসিড আর সাইকেলের বড় চেইন যেটা প্যাডেলের উপর দিয়ে ঘুড়ে সেই টোটাল চেইনটা হলো প্রোটিন।
এবার বলি এমিনো এসিড কি?
এমিনো এসিড হলো একটা যৌগ যে যৌগের মধ্যে একটি জৈব এসিড কার্বক্সিলিক গ্রুপ এবং একটি ক্ষারকীয় গ্রুপ এমিনো গ্রুপ থাকে। এই এমিনো এসিড এক ব্যতিক্রম চরিত্রের। শরীর বা কোন জায়গার ক্ষারকীয় পরিবেশে যদি এই এমিনো এসিড থাকে তবে এই এমিনো এসিড এসিডের মত কাজ করে। আবার শরীর বা কোন জায়গার এসিডিয় পরিবেশে যদি এই এমিনো এসিড থাকে তবে এই এমিনো এসিড ক্ষারকের মত কাজ করে। আবার যদি কোন নিরপেক্ষ পরিবেশে এই এমিনো এসিড থাকে তাহলে এই এমিনো এসিড নিরপেক্ষ আচরণ করে থাকে অর্থাৎ এসিড বা ক্ষারক কোনটার মতই কাজ করে না।
২.নিউক্লিক এসিড সংক্রান্ত তথ্য
নিউক্লিক এসিড একটি যৌগ। এই যৌগের তিনটি পার্ট আছে। একটি এসিডিয় ফসফেট পার্ট, একটি কার্বোহাইড্রেট পার্ট এবং একটি ক্ষারকীয় পার্ট।
এসিডিয় ফসফেট পার্ট থাকার জন্য এই নিউক্লিক এসিডকে মুলত এসিড বলা হয়। এই ফসফেট পার্ট নিউক্লিক এসিডের দুইটি কার্বোহাইড্রেট রাইবোজ পার্টকে একত্রিত করে রাখে। এই ফসফেট পার্টে একটি নেগেটিভ চার্জ থাকে। এই নেগেটিভ চার্জে কোন ধাতু যেমন সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি ধাতু যুক্ত হতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট পার্ট : নিউক্লিক এসিডের মধ্যে যে কার্বোহাইড্রেট পার্ট আছে তার নাম রাইবোজ। রাইবোজের এর এক্সটা অরডিনারি বৈশিষ্ট্য আছে। যে নিউক্লিক এসিডের রাইরোজ পার্টের মধ্যে সকল পরমানু ঠিক থাকে সেই নিউক্লিক এসিডের নাম RNA এবং যে নিউক্লিক এসিডের রাইবোজ পার্টের মধ্যে একটি অক্সিজেন পরমানু কম থাকে সেই নিউক্লিক এসিডের নাম DNA. নিউক্লিক এসিডের ফসফেট গ্রুপ দুইটি রাইবোজকে দুইটি বন্ধনের মাধ্যমে একত্রিত করে রাখে।
ক্ষারকীয় পার্ট : নিউক্লিক এসিডের ক্ষারকীয় পার্ট একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ। বিভিন নিউক্লিক এসিডে বিভিন্ন প্রকার ক্ষারকীয় পার্ট যুক্ত হয়ে বিভিন্ন নামের ভাইরাস তৈরি করে। যেমন মনে করুন এডিনিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, মনে করুন গুয়ানিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম সার্স ভাইরাস, মনে করুন থায়ামিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম ইবোলা ভাইরাস, মনে করুন সাইটোসিন ক্ষারকীয় পার্ট নিউক্লিক এসিডে থাকলে তার নাম করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ । আবার এই ক্ষারকীয় পার্টের আবার কোন একটি পরমানুর পার্থকের কারনে বিভিন্ন টাইপের ভাইরাস তৈরি হয় যেমন এ টাইপ ভাইরাস, বি টাইপ ভাইরাস, সি টাইপ ভাইরাস ইত্যাদি।
এখন আসুন দেখি ভাইরাস ধ্বংসের কৌশলটা কি?
কৌশলটা হলো ভাইরাস যেহেতু প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিডের তৈরি তাই প্রোটিন বা নিউক্লিক এসিডের যে কোন একটিকে ধ্বংস করতে হবে অথবা এদের কার্যকারিতা ধ্বংস করতে হবে। তাহলেই ভাইরাস ধ্বংস হবে।
প্রোটিনকে তিনভাগে ধ্বংস করা যায় বা ভাঙ্গা যায় ১. প্রোটিনের সাথে এসিড এবং পানির বিক্রিয়ায় মাধ্যমে ২.প্রোটিনের সাথে ক্ষারক ও পানির বিক্রিয়ার মাধ্যমে। ৩. প্রোটিনের সাথে এনজাইম ও পানির বিক্রিয়ার মাধ্যমে যা শরীরের মধ্যে আপনা আপনি ঘটে।
আমাদের দেহেরপ্রোটিনকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য ১ এবং ২ নং পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সবচেয়ে কার্যকরি এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ২ নং পদ্ধতি। কারন ১ নং পদ্ধতি অপেক্ষা ২ নং পদ্ধতিতে অল্প তাপেই প্রোটিনকে ভাঙ্গা যায়। আবার ২ নং পদ্ধতি অনুযায়ী প্রোটিন ভাঙ্গার জন্য ক্ষারক প্রয়োগ করলে তা নিউক্লিক এসিডের কার্যকরি ক্ষমতাকে নস্ট করে দিতে পারে।
এবার আসুন কিভাবে প্রোটিনকে ভাঙ্গব এবং নিউক্লিক এসিডের কার্যকারিতাকে নস্ট করে দিব।
সাম্ভাব্য ঔষধেরর সাজেশান
আমরা যদি সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মত ক্ষারক খেতে পারতাম তাহলে হয়ত করোনা ভাইরাসের প্রোটিনকে ধ্বংস করতে পারত যদিও পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত বলা যায় না কিন্তু তারপরেও সোডিয়াম হাইডোক্সাইড খাওয়ালে জিহবা গাল সব সাথে সাথে পুড়িয়ে যেত। তাই কোন কেমিক্যাল সরাসরি খাওয়া যায় না কারন কোন কেমিক্যালই খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ না বরং সব কেমিক্যালই শরীরের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকর।এজন্য করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করার পরীক্ষামুলক কাজ করার জন্য নিচের প্রসেস কার্যকরি হতে পারে। আমরা জানি খাবার চুন একটি ক্ষারক। এটি সরাসরি খাওয়া না গেলেও পানের সাথে খাওয়া যায়।
তাই আমরা যদি পানের সাথে খর, জর্দা বাদ দিয়ে শুধু পানের সাথে সামান্য চুন লাগিয়ে করোনা রোগিকে খাওয়াতে পারি তাহলে হয়ত প্রাথমিক ভাবে গলায় অবস্থিত করোনা ভাইরাস মারা যেতে পারে। তবে করোনা রোগিদের যদি সকালে একটি এবং বিকেলে একটি পান এর সাথে চুন লাগিয়ে খাওয়ানো যায় এবং তারপরে যদি করোনা টেস্ট করে করোনা ভাল হয়ে গেছে এই খবর পাওয়া যায় তাহলে এই চুনই হতে পারে করোনা রোগীর উৎকৃষ্ট উষধ। আর পান এবং চুন খেলে শরীরের জন্য কোন ক্ষতিকর তেমন কিছুই হবে না। তাই এই সামান্য চিন্তাই হতে পারে পৃথিবীর জন্য আশির্বাদ।
আমার সামান্য আইডিয়া শেয়ার করলাম। আমার ভুল ধরিয়ে দিবেন। আর আপনাদের কোন আইডিয়া থাকলে শেয়ার করবেন। আমি মিনিমাম ১০০ পাতা ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্য পড়ে এই লেখাটা তৈরি করেছি। শুধু বসে থেকে কয়জন আক্রান্ত হলো এই চিন্তা না করে গবেষণা করেছি ঔষধ আবিস্কারের জন্য।
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
বিদ্যুৎ কুমার রায়
২২ তম বিসিএস সাধারন শিক্ষা কর্মকর্তা, সহযোগি অধ্যাপক, রসায়ন, প্রোগ্রাম অফিসার, টিচার ট্রেনিং, কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ঢাকা।
০১৭১৬৫৭৪****৪