নাটোরের লালপুর নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারী নারী সেবা গ্রাহিতার থেকে ঘুষ নিচ্ছেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রকাশ হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নির্বাচন অফিসের দ্বিতীয় তলায় সেবা গ্রহিতা এক নারী পোশাক শ্রমিকের কাছে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনীর জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে পকেটে রাখছেন ওই কর্মচারী। এসময় ওই কর্মচারীকে বলতে শোনা যায়, বাড়ি চলে যান কাজ হয়ে যাবে। সামনের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কর্মচারী নাম রানা। তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। আর ওই নারী উপজেলার বিলামাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। গত মাসে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ভুল থাকায় জরুরী ভাবে সংশোধনীর জন্য লালপুর নির্বাচন অফিসে যান। এসময় নাম সংশোধনীর জন্য
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে টাকা দেয়ার কথা বলে ওই নারীর থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন রানা। ওই নারী টাকা না দেয়ায় একমাস ধরে বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে রানাকে ৫হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে রফাদফা করেন। তবে এখনো সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র পান নি ওই নারী।
ওই ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত অফিস সহায়ক রানা।
আর অফিস টাইমে বিস্তারিত জানানের কথা বলে লালপুর নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমি অবগত। কালকে অফিসে গিয়ে জেলা স্যারের সাথে কথা বলে দেখি কি করা যায়।
এবিষয়ে কথা বলতে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হককে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায় নি।