নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের নির্মাণাধিন নতুন ভবনের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না করার পিছনে গাফিলতি কার, তা তদন্ত করে খুঁজে বের করে দোষিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। সকলের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে লিখিত ভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্র পলক।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় করোনাকালীন সময়ে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ত্রাণ কার্যক্রম এবং আইন-শৃংঙ্খলা বিষয়ক ভার্চুয়াল সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি প্রকল্প নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের নতুন ভবন। কিন্তু ঠিকাদার বা দপ্তরের গাফিলতির কারণে ১৩ মাসেও হাসপাতালের কাজ শেষ হয়নি। সমন্বয়ের অভাবও ছিল। যারা এই গাফিলতির পিছনে জড়িত তাদের শাস্তির দাবী করছি। এছাড়া যারা গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে গাফিলতির পিছনে কারা কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
এ সময় অনলাইনে যুক্ত থাকা নাটোর-২ (নাটোর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘হাসপাতালের কাজ শেষ না হওয়ার পিছনে গনপূর্ত বিভাগের গাফিলতি রয়েছে। ঠিকাদার ডিজাইন চাইলেও তারা দেয়নি। তাছাড়া বিল না দেওয়ার কারণে ঠিকাদার কাজ করতে পারছে না। এসময় এমপি শিমুল জেলা প্রশাসককে বলেন, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করার জন্য। তদন্তে ঠিকাদার বা গণপুর্তর গাফিলতি থাকলে তা শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
এসময় গণপূর্তর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘ঠিকাদারকে ডিজাইন দেওয়া রয়েছে।’
পরে আবারও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি তার বক্তব্যে বলেন, ‘গাফিলতি কার তা বের করার জন্য তদন্ত কমিটি করেন। গত ১৩ মাসে কেন কাজ শেষ হল না।’ তদন্ত কমিটি যেন আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট প্রদান করে, তার জন্য জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে কমিটি করে গাফিলতি কার তা খুঁজে বের করে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।