সৈয়দ মাসুম রেজা, নাটোর প্রতিনিধি
কৃষকরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে নাটোরের নলডাঙ্গা শনিবার হাটে পেঁয়াজ পাইকারী প্রতিকেজিতে দাম কমলো ৩০ -৩৫টাকা। এখন পাইকারী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। যা গত মঙ্গলবার হাটে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭০-৮০ টাকা দরে।সাধারন ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও হঠাৎ এ দরপতনে হতাশ পেঁয়াজ চাষীরা।
অনেকদিন যাবত আকাশচুম্বী দাম থাকার পরে কৃষকরা ভেবেছিল এবার তারা গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু বাজারে এমন ধ্বস নামায় তাদের ভিতর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিক্রেতা আক্কাস আলী জানান, আজকে এত দাম পড়ে যাবে জানলে পেঁয়াজ উঠাতাম না। আমাদের ধারণা ছিল পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ টাকা কমতে পারে। কিন্তু আজকের হাটে এত দাম পড়ে যাবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। গতবছর ভরা মৌসুমে ৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এবার ভেবেছিলাম সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারব।
কৃষক জামাল জানান, সরকার এই মুহূর্তে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলে প্রান্তিক চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখনই সিদ্ধান্ত না নিলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আরেক কৃষক বশির উদ্দিন জানান, এবার কন্দ পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। এবার পেঁয়াজের বীজ কিনতে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই তুলনায় দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকলে কৃষক কিছুটা স্বস্তি পেতো।
এদিকে বাজারে এক ক্রেতা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, এতদিন পেঁয়াজ কম খেয়েছি। অনেক সময় পেঁয়াজ ছাড়াই তরকারি রান্না করতে হয়েছে। এই দাম থাকলে তাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।