নাটোরের লালপুরে এক শিশুর গলায় অসাবধানতায় বসত নুডুলসের সাথে সেফটিপিন খেয়ে ফেলায় তা আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ ২০ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও গলা থেকে সেই সেফটিপিনটি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিশুর বাবা শফিকুল ইসলাম (৩২)।
জানা যায়, উপজেলার বড় বাডকয়া এলাকার শফিকুল ইসলামের তিন বছরের মেয়ে জিদনীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মা জুলেখা বেগম নুডুলস খাওয়ানোর সময় অসাবধানতাবশত শিশুটির গলায় আটকে যায় ওই সেফটিপিনটি। তৎক্ষণাৎ শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে সাথে পার্শবর্তী বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে সেখান থেকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখনো শিশুর গলায় সেফটিপিন বাহির করা না গেলেও শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে।
শিশু জিদনীর চাচাতো ভাই হাসান আলী জানান, নুডুলস খাওয়ানোর সাথে সাথে গলায় কি যেন আটকে যায়। সে তৎক্ষণাৎ ক্রমাগত অসুস্থ হতে শুরু করলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে এক্স-রে এর মাধ্যমে গলায় সেফটিপিন আটকানোর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকরা সেটি বের করার মেশিন না থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। থাকায় নেয়ার পর এখনও সেফটিপিনটি বের করা সম্ভব হয়নি। আশা করি রাতেই অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে তা বের করা হবে। জিদনী আগের চেয়ে ভালো আছে।