স্টাফ রিপোর্টার: নাটোর শহরের মীরপাড়া মহল্লার বারিষা (২০) বেগম নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এক সন্তানের জননী ঐ গৃহবধুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় অনেকের মনে সন্দেহের সৃস্টি করেছে। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে নানা ধরনের সমালোচনার গুঞ্জন শোনা যায়। নিহত গৃহবধুর স্বামীর পরিবারের লোকজন এ মৃত্যুর ঘটনাটি আতœহত্যা বললেও এলাকার অনেকেই মনে করছেন এটি আসলেই আতœহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা।
এদিকে মৃত গৃহবধুর নানা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও তার পরিবারের লোকজন জানায় নাটোর শহরের মীরপাড়া শহিদুল ইসলাম সোহেলের ছেলে সোহান সাথে একই শহরের আলাইপুরের রাকিবুল হাসানের মেয়ে বারিষা প্রায় ৩ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তালহা নামের ২ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। তারা জানায়, বিয়ের পর থেকেই গৃহবধু বারিষাকে স্বামী সহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে নানাভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। এছাড়াও তাকে মাঝে মধ্যে মারধোর করতো তারা।
তবে একমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তবে সবকিছু নিরবে মুখবুঝে সহ্য করে আসছিলো তাদের মেয়ে বারিষা। কিন্তু তাদের এ নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলছিলো। এরই একপর্যায়ে রোববার সন্ধ্যায় বারিষার মৃতদেহ মীরপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু জানান, বারিষার স্বামী সোহান ও তার পরিবারের লোকজন মারধর করে হত্যা করে তার গলায় রশি দিয়েভ পরিকল্পিত ভাবে নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং অন্য লোকের মাধ্যমে তাদেরকে বারিষার মৃত্যুর খবর দেয়া হয় বলেও জানান তারা। তাই নাতনী হত্যার বিচার চেয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন বারিষা ও তার পরিবারের লোকজন।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ঐ গৃহবধুকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি তবে হাসপাতালে আনার অনেক আগেই ঐ গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তারা।
অপরদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এঘটনার পর নিহত গৃহবধুর স্বামী সোহানকে থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানা যায়।