নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলুয়া গ্রামে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস কাটা ধোয়ার কাজে নিয়োজিত একই মহল্লার ২ নারী সহ ৯ জনের অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এতে ওই গ্রামের মানুষ অ্যানথ্রাক্স আতংকে রয়েছেন। এদিকে গ্রামটিতে জরুরি ভিত্তিতে সন্দেহজনক ৩’শ পশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়েছে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেলুয়া গ্রামের মহিদুল ইসলামের একটি গর্ভবতী গাভি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৭ জুলাই নিজ বাড়িতে জবাই করা হয়। গরু জবাই করার কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ও জবাই করা গরুর মাংস খেয়েছেন এমন ৯জন লোক ওই রাত থেকে অসুস্থ হতে শুরু করেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগতত্ত্ব ও রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের চিকিৎসক ওয়ালিউজ্জামান বলেন,
আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে যেন কেউ আক্রান্ত না হয় সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। এটা আসলে কি রোগ তা আইইডিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করার আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার সরকার বলেন, অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ওই গ্রামের ৩শ গবাদিপশুকে টিকা দেয়া হয়েছ। এছাড়া কোনো গবাদিপশুতে রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রাণিসম্পদ বা পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নাটোরের সিভিল সার্জন রোজী আরা বলেন, চিকিৎসকেরা অসুস্থ ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাতে রোগীরা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।