গত ১৬ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুরের উদবারিয়া মাদ্রাসার বারান্দায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মরদেহের পরিচয় সনাক্ত ও মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে মাঠে নামে র্যাব। প্রাথমিকভাবে তারা এই মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ এপ্রিল রাত দুইটার দিকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সন্দেহভাজন এরশাদ আলী আকাশ (৩৪) এবং রিপন সরকার (৩২) নামের দুই সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে পাবনা জেলার চাটমোহর থানার গুয়াখাড়া স্টেশন এলাকা থেকে আটক করে র্যাব।
আজ (১৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাব-৫ রাজশাহী এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহরিয়ার। নিহত অন্তর পাবনা জেলার চাটমোহর থানার পাতাইলহাট এলাকার ছবের আলীর ছেলে।
তিনি আরো জানান, এরশাদ আলী আকাশ এবং রিপন সরকার মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতো এই ভিকটিম অন্তর। এদের মধ্যে মাদক ব্যবসার টাকার ভাগ বাটোয়ারা কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এতে তারা অন্তরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পিতভাবে অন্তরকে ডেকে নিয়ে গুরুদাসপুরে আসে। সেখানে মাদ্রাসার বারান্দায় ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে অন্তরকে চোলাই মদ খাওয়ায়। এরপরে অন্তর অচেতন হয়ে পড়লে তার গায়ের শার্ট খুলে দুইজনে মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপরে সেখান থেকে আবারও তারা অন্তরের মরদেহ বারান্দায় ফেলে রেখে চাটমোহরে ফিরে যায়।
গুরুদাসপুরের উদবারিয়া মাদ্রাসার বারান্দায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ প্রাপ্তির সংবাদে র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। এরই সূত্র ধরে সন্দেভাজন দুই জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের গুরুদাসপুর থানা হস্তান্তর করা হয়।