নাটোর প্রতিনিধি: সরকারী হট লাইন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ সহায়তা চাওয়ার কারণে নাটোরের লালপুরে শহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষককে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত অপর দুই আসামী এবি ইউপির ০৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজা এবং রুবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, ‘এই মামলার পলাতক দুইজন আসামী ইউপি সদস্য রেজা ও রুবেলকে গ্রেফতার করে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার এই মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, নাটোরের লালপুরের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামসহ গ্রামের প্রায় ৩০০জন করোনা ভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়ে। টিভি স্কীনের মাধ্যমে জানতে পেরে গত ১০এপ্রিল সরকারী হটলাইন নম্বর ৩৩৩তে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান তিনি। এর দুইদিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার চৌকিদার দিয়ে তাকে ডেকে এনে মারধর করেন। এরপর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে কৃষক শহিদুলের পরিবর্তে অপর একজনের রক্তমাখা ছবিটি ভাইরাল হয়। এরপর গত ১৫ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার সহ ৩জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী কৃষক শহিদুল ইসলাম।