নাটোর প্রতিনিধি ঃ
নাটোরের লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ি মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ইসলামি শিক্ষা প্রচারে ঈর্ষণীয় সাফল্যের পথ দেখাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে তিন বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত অত্যন্ত সুনিবিড় পরিবেশের দৃষ্টিনন্দন এ দ্বীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তত্বাবধানে রয়েছে ১৩ জন সুদক্ষ শিক্ষক। সার্বক্ষণিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসিকে মক্তব, নাজেরা, হিফজ ও কিতাব বিভাগে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ১ম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত মক্তব নূরানী বিভাগ।
মাদ্রাসাটির মুহতামিম মাওলানা মোহাঃ আব্দুল আহাদ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তানযিমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের অধিনে ৫৬ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। তিনি আরো বলেন, এ বছরে উফফাজুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর নাটোর জেলা হিফজ প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ জন শিক্ষার্থী বিভাগীয় পর্যায়ে ও একজন কৃতি শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়।
নাজেমে তা’লিমাত হাফেজ মাওলানা মুফতী তাওহীদুল ইসলাম জানান, আরবি শিক্ষার পাশাপাশি ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়। তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।
ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মাস্টার বলেন, মাদ্রাসাটির সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর পরিচালনায় অত্যন্ত সুনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব কারিকুলামের বাইরেও জাতীয় দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সীরাত ও কিরা’ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি এলাকার সুনাম বয়ে আনছে। মাদ্রাসাটি দ্বীন শিক্ষার সম্প্রচারে এবং দেশের অন্যতম ইসলামী জ্ঞান চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।