বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে জোনাইল ইউনিয়নের চর গোবিন্দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ পাওয়া যায়- চর গোবিন্দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অফিসে না এসে আয়া’কে দিয়ে অফিস পরিচালনা করে আসছিল। গত ১৯ জুলাই রবিবার আনুমানিক ১২.০০ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের আয়া শিল্পী খাতুন সেবা নিতে আসা রোগীদের ওষুধ পত্র বিতরণ করছেন। সিএইচসিপি সাইফুল ইসলাম নেই কেন এবং আপনি আয়া হয়ে ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করছেন কীভাবে! এমন প্রশ্নের জবাবে আয়া শিল্পী খাতুন বলেন- বেশিরভাগ দিন সাইফুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে বাইরে থাকেন এবং আমাকে দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করান। এ বিষয়ে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিককে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন- আমি কেন বাইরে এসেছি, আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, আমি আপনাদের কৈফিয়ৎ দিতে বাধ্য নই, আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। তিনি আরো বলেন- আপনাদের যে অভিযোগ করেছে আমি তাকে দেখে নেব।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বেও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক এর অনিয়ম বিষয়ে বারবার বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও থেমে নেই অনিয়ম। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসা সেবা নেওয়ার এটাই একমাত্র অবলম্বন। প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক এর উদ্যোগ নেন। কিন্তু সুবিধাবাদী অসাধু কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের কারণে চিকিৎসাসেবায় যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান ওই এলাকার সুধীজনরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান- সপ্তাহের বেশিরভাগ সময় সাইফুল ইসলাম ক্লিনিকে আসেনা, আয়াকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করেন, প্রতিবাদ করতে গেলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ধমক দেন সাধারন জনগন কে।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার কুন্ডু বলেন- একজন কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডর (সিএইচসিপি) এর দায়িত্বে থাকা কালীন অন্য কোন অফিসিয়াল পেশায় থাকার কোন নিয়ম নাই, তিনি আরও বলেন- ওই এলাকা থেকে কেউ অভিযোগ করেনি, তবে আপনাদের তথ্য সাপেক্ষে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ কে অবগত করলে তিনি বলেন- তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।