বাগাতিপাড়া প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জলমহল নিতিমালা বহির্ভূতভাবে সরকারি পুকুর প্রদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় মৎস্যজীবি সমিতি। মঙ্গলবার সকালে পুকুর পাড়ে উপজেলার ডাকরমাড়িয়া দ্বীপ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্যরা এই মানববন্ধন করে। এছাড়া এবিষিয়ে নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করনে ডাকরমাড়িয়া দ্বীপ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৩০মার্চ উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসে ট্রেন্ডার ড্রপ করতে গেলে বাধা প্রদান এবং মারপিট করে তাদের। সে সময় সরকারি ৯৯৯ ফোন দিয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসে টেন্ডার ড্রপ করেন। কিন্তু এর পর গত ৬ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিটিং করে জলমহল নিতিমালা বহির্ভূতভাবে বাঁশবাড়িয়া উত্তরপাড়া মৎস্য জীবী সমিতি এবং দক্ষিণপাড়া সমিতিকে মোট চারটি পুকুর প্রদান করে। যা তাদের সমিতির পুকুরের নিকটতম হওয়ার পরেও তাদের সমিতিকে পুকুর না দিয়ে ৫ কিলোমিটার দূরের সমিতিকে পুকুর প্রদান করে, যা জলমহল নীতিমালা বহির্ভূত। চিথলিয়া দিঘি,খাটখইর পুকুর, লোকমানপুর দ্বীপ সমিতি নিকটতম হওয়ার পরেও তাদের না দিয়ে সালাইনগর দীপ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে নিজের পছন্দমত সমিতিকে পুকুর প্রদান করেন। যার দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। সালাইনগরে দুইটা পুকুর আছে যা অন্য ইউনিয়নের সমিতি দিয়ে অংশগ্রহণ করেছে এবং তাদের উক্ত পুকুর দুইটা দিয়েছে যা সালাইনগর সমিতিকে দিতে পারত বলে লিখিতওে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন, ডাকরমাড়িয়া দ্বীপ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন, মহিলা সদস্য তাসলিমা খাতুনসহ অন্যান্য সদসরা।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল এ বিষয়ে বলেন, ব্যবস্থাপনা একটি কমিটি আছে, সেই কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেয়া হয়েছে।