১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ সময় সরকারি কোন অনুদান ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছিলো নাটোর সদর উপজেলার বাগরোম বালিকা দাখিল মাদ্রাসা। ২০২০ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভূক্ত হয়। কিন্তু এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের সবাই নতুন। নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরে জড়িতের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে বহিস্কৃত মাদ্রাসার সহকারী সুপারভাইজার আনিসুর রহমান লাবুও।
এমপিওভুক্তির পর আগের শিক্ষক কর্মচারী বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগেরও অভিযোগ মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে। রয়েছে ভূমি দখলেরও অভিযোগ।
মাদ্রাসা সুপার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আর কয়েকবার যোগাযোগ করলেও কথা বলতে রাজি হয়নি মাদ্রাসার সভাপতি।
বাগরোম বালিকা দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি বিধি মোতাবেক সকল শিক্ষক মিলেই এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে ৮০ লক্ষ টাকার যে দুর্নীতির অবিযোগ আনা হয়েছে এটা মিথ্যা ও বানোয়াট।’
অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, আমি সরেজমিনে বাগরোম মাদ্রাসায় উপস্ততি হই। এই মাদ্রাসায় যারা এতদিন ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন তাদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে কথা বলি।’
নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ জানান, ‘কোন অন্যায় ও বিধির বাইরে কোন কাজ হলে তদন্ত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
অনিয়ম দুর্নীতি দূর করে যোগ্য শিক্ষকরাই মূল্যায়ণ পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।