নন্দীগ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের লুস্কুর গ্রামে।
জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে লুস্কুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের ভুস্কুর একই গ্রামের আব্দুল মোমিনের মেয়ে তানিয়া খাতুনকে বিবাহ করে ঘরসংসার শুরু করে। সংসার জীবনে তাঁদের কোনো সন্তান জন্ম হয়নি। এদিকে লুস্কুর গ্রামের মাওলানা আইয়ুব আলীর ছেলে আরিফুল ইসলামের প্রেমে পড়ে আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তানিয়া খাতুনের। আরিফুল ইসলাম তাঁকে বিবাহ করার কথা বলে সম্পর্ক স্থাপন এবং বিবাহের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে। যে কারণে তাঁদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তানিয়া খাতুন ও তাঁর পরিবারের পক্ষ হতে আরিফুল ইসলামকে বিবাহ করার অনুরোধ করলে সে বারবার কালক্ষেপণ করে। এ নিয়ে গ্রামে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
এমতাবস্থায় রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে তানিয়া খাতুন বিয়ের দাবিতে আরিফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেসময় আরিফুল ইসলাম বাড়িতে ছিলো না। আরিফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা তানিয়া খাতুন ও তাঁর মাকে বেদম মারপিট করেছে বলে তাঁরা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে আরিফুল ইসলামের পিতা মাওলানা আইয়ুব আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবুও আমরা আপস করার চেষ্টা করছি।
স্থানীয়রা জানান, আরিফুল ইসলাম তানিয়া খাতুনকে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে অনেকবার ধর্ষণ করেছে শুনেছি। এ জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া দরকার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিমের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, উভয়পক্ষ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি আপসের চেষ্টা করেছে কিন্তু আপস হয়নি।