নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর অবশেষে স্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছে প্রেমিকা তানিয়া খাতুন। এ নিয়ে গত রবিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের লুস্কুর গ্রামে গ্রাম্য সালিশ বসে। ওই সালিশে প্রেমিক আরিফুল ইসলামের পরিবার তানিয়া খাতুনকে তাঁর সাথে বিয়ে দিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে রাজি হয়। আরিফুল ইসলাম বাড়িতে না থাকায় ওই রাতে বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ৪দিন পর বিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন আরিফুল ইসলামের পিতা মাও. আইয়ুব আলী । সোমবার (১০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেন তানিয়া খাতুনের মা নাজিরা বেগম।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর পূর্বে লুস্কুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের পার্শ্ববর্তী ভুস্কুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের সুন্দরী মেয়ে তানিয়া খাতুনকে বিয়ে করে ঘরসংসার শুরু করে। সংসার জীবনে তাঁদের কোনো সন্তান জন্ম হয়নি। এ দিকে লুস্কুর গ্রামের মাও. আইয়ুব আলীর ছেলে আরিফুল ইসলামের কুনজর পড়ে আব্দুল কাদেরের সুন্দরী স্ত্রী তানিয়া খাতুনের প্রতি। আরিফুল ইসলাম তাঁকে বিয়ে করার কথা বলে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে এবং বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। যেকারণে তাঁদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তানিয়া খাতুন ও তাঁর পরিবারের পক্ষ হতে আরিফুল ইসলামকে বিবাহ করার অনুরোধ করলে সে বারবার কালক্ষেপণ করে।
এ নিয়ে গ্রামে কয়েক দফা সালিশ হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় গত রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে তানিয়া খাতুন বিয়ের দাবিতে আরিফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেসময় আরিফুল ইসলাম বাড়িতে ছিলো না। আরিফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা তানিয়া খাতুন ও তাঁর মা নাজিরা বেগমকে বেদম মারপিট করে বলে তাঁরা জানান। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আরিফুল ইসলামের সাথে তানিয়া খাতুনের বিয়ে দেওয়ার শর্তে গ্রাম্য সালিশে আপস-মিমাংসা হয়েছে।