বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছোড়া এসিডে ঝলসে গেছে স্ত্রীর মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কামারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হতভাগ্য গৃহবধূর নাম নার্গিস আক্তার নুপুর (২৮)। তিনি কামারদহ গ্রামের আনোয়ার হোসেন তাজেমের মেয়ে এবং অভিযুক্ত স্বামী আবু তালেব উপজেলার আহম্মেদপুর এলাকার মৃত রাহাত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ উপজেলার মৌখাড়া এলাকা থেকে আবু তালেবকে আটক করেছে।
বড়াইগ্রাম থানা ও নুপুরের পরিবার সুত্রে জানা যায়, আবু তালেব কয়েক বছর যাবৎ নার্গিস আক্তার নুপুরকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু বিয়ের পর নুপুর জানতে পারে তার স্বামী ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার আসামী। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব-কলহ লেগে থাকতো। যার জের ধরে এক সপ্তাহ আগে নুপুর স্বামীকে তালাক দেয়। কিন্তু তালাকের নোটিশ পেয়ে আবু তালেব ক্ষিপ্ত হয়। পরে সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি এসে নুপুরকে ডাক দিলে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় আবু তালেব তার স্ত্রীর শরীরে এসিড ছুড়ে মারে। এতে নুপুরের মুখের একটি অংশসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যায়। এ সময় তার চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এলে আবু তালেব পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা নুপুরকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নুপুরের পিতা আনোয়ার হোসেন তাজেম একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, এসিডে তার মেয়ের মুখের একটি অংশ ও শরীরের বাম দিকে কিছু অংশ ঝলসে গেছে। এখন সে বাম চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতেই অভিযুক্ত আবু তালেবকে আটক করা হয়েছে।