ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা : রূপকথার উত্থান-ডঃ প্রশান্ত চক্রবর্তী(ভারত)

ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা : রূপকথার উত্থান

                                      ———–প্রশান্ত চক্রবর্তী

ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর জয়ের ব্যবধান এবারে এক লক্ষেরও বেশি। ২০০১ থেকে টানা পঞ্চমবার। অসমের পঞ্চদশ মুখ্যমন্ত্রী হলেন। তাঁর নির্বাচনী ‘সমষ্টি’র(অসমে বাঙালিরাও অসমিয়া ভাষার সাদৃশ্যে constituency-র বাংলা ‘সমষ্টি’ বলেন, লেখেন। কেন্দ্র মানে তো centre। জনসমষ্টির কথা ভাবলে ‘সমষ্টি’ উপযুক্ত) নাম ‘জালুকবাড়ি’। গুয়াহাটি মহানগরীর ভেতরকার কামাখ্যা পাহাড়, পাহাড়তলি, ইতিহাসপ্রসিদ্ধ পাণ্ডু, রেলনগরী মালিগাঁও, ব্রহ্মপুত্রের ওপারে আমিনগাঁ থেকে উত্তর-গুয়াহাটি, অশ্বক্লান্ত, (যেখানে নালন্দাধ্বংসকারী, বঙ্গে ইসলামি শাসনের প্রথম হানাদার ডাকাত লুটেরা বখতিয়ার খিলজি পরাস্ত হয়, মারা যায়) থেকে প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার রূপে খ্যাত বস্ত্রনগরী শুয়ালকুচি(১৯১৯-এ গুয়াহাটিভ্রমণকালে রবীন্দ্রনাথ অসমিয়া তাঁতবস্ত্রের অনুপম সৌন্দর্য দেখে শুয়ালকুচির এক তাঁতশিল্পী মহিলাকে শ্রীনিকেতনে নিয়ে গেছিলেন), অসমের ইতিহাসের মহাবীর লাচিত বরফুকনের পুণ্যস্মৃতিধন্য শরাইঘাটের রণ(মোগলকে অাহোমেরা সতেরোবার মেরে তাড়িয়েছিল অসম থেকে এবং শরাইঘাটের যুদ্ধে কাজে গাফিলতির জন্য নিজের মামাকে এক কোপে বলি দিয়ে বীর লাচিত বলেছিলেন~”দেশের চেয়ে মামা বড় নয়”)—এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্বাচনী ক্ষেত্র। এবারের নির্বাচনে তিনি নিজের সমষ্টিতে মাত্র এক বার এসেছেন প্রচারে, তাও শেষ মুহূর্তে। অথচ রেকর্ড ভোট পেয়ে জিতেছেন।
প্রিয় পাঠক, এই যে তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্রটির এত বর্ণনা করলাম~সেটা কিন্তু বাহুল্য নয়। অসমের ইতিহাসের নানা উত্থানপতনের সাক্ষী ও অসমিয়া জাতীয় জীবনের গৌরবগাথা এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত বলেই সাম্প্রতিক নির্বাচনে ড. হিমন্ত বিশ্ব এই ঐতিহ্য-ইতিহাসকে তাঁর নির্বাচনী প্রচার ও যুদ্ধে অতি নিপুণভাবে ব্যবহার করেছেন। একটি উদাহরণ দিই। ২০১৬-র নির্বাচনে কংগ্রেস থেকে সদ্য আগত হিমন্ত এমন একটি ঢেউ তুললেন~যা অভূতপূর্ব। বললেন~এটা নিছক নির্বাচন নয়, এ হল অসমিয়াদের “জাতি-মাটি-ভেটি”র লড়াই। ‘ভেটি’ মানে ভিটেমাটি। আরও বললেন~এটাই হোক শরাইঘাটের শেষ যুঁজ, মানে যুদ্ধ। ব্যস। রাতারাতি অসমিয়া জাতীয়তাবাদী ধারাটি বিজেপির পক্ষে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল এবং অসমে প্রথম বিজেপি সরকার হয়েছিল। এবার ২০২১-এও ড. হিমন্ত জিগির তুলেছিলেন~এটা নিছক নির্বাচন নয়~এ হল “সভ্যতা-সংস্কৃতির লড়াই”। মানুষ এবারও নিয়েছে তাঁর এই চিন্তাধারাকে। কয়েকমাস আগে এক মুসলিম বিধায়ক শেরমান আলি দাবি করেন~গুয়াহাটির শংকরদেব কলাক্ষেত্রে ‘মিঞা মিউজিয়াম’ স্থাপন করতে হবে, যেখানে মুসলমানদের লুংগি টুপি ইত্যাদি সংরক্ষিত হবে। হিমন্ত বিশ্ব এহেন দাবির তুলোধুনা করেন। এবং আগ্রাসী ইসলামিকরণের এই ভয়াবহ প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হন। নিন্দুকেরা বলতেই পারে~বলবেই~এ তো ধর্মীয় মেরুবিভাজনের রাজনীতি। এবং সেটা বলবে মূলত বিষাক্ত বামপন্থীরা। এরা কেরালায় মুসলিম লিগের সঙ্গে দোস্তি করে ক্ষমতায় টেকে। পশ্চিমবঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকি এদের প্রাণের দোসর। আর অসমে আজমল। ইসলামি মৌলবাদীদের তোয়াজ-তোষণ নিজেরা সেই জন্মলগ্ন থেকে করার পরেও এরা বিজেপিকে ধর্মনিরপেক্ষতার ধুয়ো তুলে ‘সাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দেয়। এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে মোক্ষম চাল দিয়েছেন ড. হিমন্ত বিশ্ব। ক্ষমতার লোভে লালায়িত কংগ্রেস আজমলের দলের সঙ্গে যখন আঁতাত করে~এবং বামদলগুলোও সেখানে যুক্ত হয়~তখন হিমন্ত বিশ্বর পক্ষে এই “সভ্যতা-সংস্কৃতির লড়াই”টি অসাধারণ চাল রূপে চিহ্নিত হয়েছে। আর তাছাড়া, সরকারি বেসরকারি সব রকম তথ্যেই দেখা যাচ্ছে–অসমে ১৪টি জেলা মুসলিম অধ্যুষিত, যার মধ্যে সিংহভাগ পূর্ববঙ্গীয় মূলের। শ্রীমন্ত শংকরদেবের স্থাপিত সংস্কৃতিকেন্দ্র নামঘরের হাজার হাজার বিঘা জমি দখল, কাজিরাঙার মতো বিশ্বপ্রসিদ্ধ অভয়ারণ্য ধ্বংস, নির্বিচার বনাঞ্চল দখল ও বসতি স্থাপন–চরাঞ্চল বেদখল থেকে শুরু করে ধর্ষণ, নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপের অন্তরালে যে অনুপ্রবেশকারীদের ভূমিকাই রয়েছে–সেটা ড. হিমন্ত বিশ্ব অসম বিধান সভায় মাঝখানে দাঁড়িয়ে, প্রকাশ্য প্রচারে সজোরে সতথ্য আলোচনা করেছেন। কার সাধ্যি সেই তথ্য অস্বীকার করে? পশ্চিমবঙ্গে যখন অনুপ্রবেশকারীদের ‘দুধেল গরু’ রূপে গণ্য করে তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলে—অসমে হিমন্ত তার উল্টো পথে গিয়ে আইন আনলেন গত কার্যকালে—দুইয়ের চেয়ে অধিক সন্তানের জন্মদাতা পিতামাতা কোনো নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। পঞ্চায়েতই হোক বা বিধানসভা কিংবা লোকসভা। সরকারি চাকরি সহ কোনো সুযোগসুবিধা পাবে না। বোঝো ঠ্যালা। ধর্মের নামে শুয়োরের পালের মতো সন্তান উৎপাদন করে, জনসংখ্যা বাড়িয়ে গোটা ইউরোপ দখলের ডাক দেয় বাংলাদেশী ধর্মান্ধ হুজুরগুলো। ইউটিউব খুললেই পাবেন। লে হালুয়া–অসমে এসব চলবে না। শুধু কি তাই? সরকারি খরচে যত মাদ্রাসা চলত–সব বন্ধ করে দিলেন ড. হিমন্ত। বুকের পাটা আছে বলতে হবে। বললেন : সরকার কেন আরবের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য টাকা দেবে?
এই যে অকুতোভয় জননেতার লড়াই চলছে, তাঁর ইতিহাস প্রসিদ্ধ নির্বাচনী ক্ষেত্রটিও যেন তাঁকে প্রকারান্তরে সাহায্য করেছে। শরাইঘাটের রণ বা সভ্যতা-সংস্কৃতির যুদ্ধটি বাহ্যত অসমের নির্বাচনে মূল সংকেত রূপে চিহ্নিত হয়েছে।
ছাত্র রাজনীতির অঙ্গন থেকে উঠে আসা ড. হিমন্ত বিশ্ব কংগ্রেসে যোগ দেন ১৯৯৩-৯৪ নাগাদ। নামনি অসমের নলবাড়ির গ্রামে তাঁর পৈত্রিক ভিটে। একেবারে ছোট বয়সে জোড়হাটে বিদ্যাজীবন শুরু। বড় হয়েছেন গুয়াহাটিতে। কিন্তু যুৎসই নির্বাচনী ক্ষেত্র পাচ্ছিলেন না। সেই সময় তাঁর চোখে পড়ে জালুকবাড়ি। এই সমষ্টির মধ্যে বিরাট একটি বাঙালি হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চল পাণ্ডু-মালিগাঁও-আমিনগাঁও। একসময় ছাত্রজীবনে অসম-আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও অসম-চুক্তির বিরোধিতা করে বেরিয়ে আসেন। অসমিয়া উগ্র জাতীয়তাবাদী ধারাটি বরাবর তাঁর অপছন্দ। তাই বিকল্প হিসেবে সেই সময় শাসনাধিষ্ঠ কংগ্রেসেই যোগ দিতে হয়। সেই কংগ্রেস মানে আজকের মা-বেটা-বেটির কংগ্রেস নয়। নিজের ভবিষ্যৎ নির্বাচনী ক্ষেত্ররূপে বিপুলসংখ্যক বাঙালি হিন্দু অধ্যুষিত জালুকবাড়িকেই গ্রহণ করেন তিনি। এই অঞ্চলের বাঙালি হিন্দুরা আজ তাঁকে দেবতার মতো দেখে। সবার তিনি ‘দাদা’। ঘরের মানুষ। আপনজন। আর অসমিয়ারা ভাবে তাঁকে ‘হিয়ার আমঠু’ বা বুকের ধন। নিজের সমষ্টিতে তিনি এবার মাত্র একটিবার শেষ মুহূর্তে প্রচার চালিয়েছেন। তার আগেরদিন ছত্তিসগঢ়ে মাওবাদী হামলায় বহু জওয়ান বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছে। ফলে গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ জালুকবাড়ির প্রচার বাদ দিয়ে তড়িঘড়ি ছুটলেন। ওইটুকু বিকেল। তাও প্রচার শেষ হবে সেদিনই। ড. হিমন্ত স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে নিয়ে হাঁটু মুড়়ে মঞ্চে প্রণাম করলেন। ব্যস। এক লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয়ী। তাঁর ভোটারেরা বলছে~দাদা, আপনি অসমের একশ ছাব্বিশটা সমষ্টি দেখুন, আমরা আপনারটা দেখব। জনগণের এতটাই আস্থা তাঁর ওপর।
এই যে সাফল্য, এটা একটা অর্জন। সাধনা। ধীরে ধীরে জনচিত্ত জয় করেছেন তিনি। অসমিয়া জনগণের পাশাপাশি বাঙালি হিন্দুদের সুখেদুঃখে কাছে দাঁড়িয়েছেন। উগ্রবাদীদের তোয়াক্কা না-করেই। মনে পড়ে হালকা গোঁফ, ঢোলা প্যান্ট পরে পাণ্ডু-মালিগাঁওর ঘরে ঘরে গেছেন একসময়। প্রবল বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্রের জল উজিয়ে বিভিন্ন রেল কলোনি তলায়। গামবুট পরে রাতবিরেতে ঘুরছেন তিনি। বিরাট বিরাট রবীন্দ্রজয়ন্তী হয়েছে তাঁর উদ্যোগে, স্থানীয় কর্মীদের সহযোগিতায়। তাঁর বাঙালিঘেঁষা চরিত্র দেখে নিন্দুকেরা বলে–বাঙালিদের নির্ণায়ক ভোটে তিনি জয়ী হন তো, তাই অমন দরদ। কিন্তু না, তিনি বরাবর সত্যের পক্ষে। একটা ঘটনা বলি।
কয়েক বছর আগের কথা। মধ্য অসমের নগাঁওতে একটি বাঙালি দোকানে সালফা বা সারেন্ডারড আলফারা পাঁচ লক্ষ টাকা বন্যাত্রাণের ‘চাঁদা’ তুলতে এসে মালিকপক্ষের হাতে বেধড়ক মার খায়। দোকানের সিসি টিভির ফুটেজ লিক হতেই গোটা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা দাউদাউ করে বাঙালিবিদ্বেষে জ্বলে ওঠে। জাতিদাঙ্গা লাগে-লাগে দশা। অবস্থা যখন সঙিন~তখন হিমন্ত বিশ্ব মাঠে নামেন। সাংবাদিকদের পুলিশি তথ্য দিয়ে জানান, দোকানের মালিকটি বাঙালি হতে পারে, কিন্তু যারা মারধর করেছে, তাদের পাঁচজনের চারজনই অসমিয়া। ব্যস। একমুহূর্তে জাতিবিদ্বেষী গোষ্ঠীর মুখে ঠান্ডা জল। শুধু অসমে নয়, গোটা উত্তরপূর্বে তিনি সবচেয়ে বড় ম্যানেজ মাস্টার।
বরাক উপত্যকায়ও তিনি সমান জনপ্রিয়। ওখানকার রাজভাষা বাংলা। ওখানে বাংলায়ও কথা বলেন। সব চেয়ে বড় উদাহরণ : অসমিয়া অধ্যুষিত ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় তিনি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন করেছেন। যার উপাচার্য একজন বাঙালি পণ্ডিত, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ভূতপূর্ব প্রধান ড. অমলেন্দু চক্রবর্তী। গেল কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের সোশ্যাল মিডিয়ায় বামেরা ও তৃণমূলিরা প্রচার করে এসেছে–অসমে বাঙালিরা আক্রান্ত, রবীন্দ্রজয়ন্তী বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। অথচ সরকারি উদ্যোগে অসমে প্রতি বছর বিরাট রবীন্দ্রজয়ন্তী হয়, এবং রবীন্দ্রনাথের নামে আস্ত একখানা বিশ্ববিদ্যালয় চলছে।
বাকি রইল কংগ্রেস আমলে স্থাপিত ডিটেনশন ক্যাম্প আর ডি ভোটার সমস্যা। এটা নিয়েও বিভ্রান্তির শেষ নেই। এই গোটা প্রক্রিয়াটা যে জুডিশিয়াল একটা দিক সেটাও অনেকেই মনে রাখেন না। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে দিদিমণি বলেছেন : আসামে ১৪ লক্ষ বাঙালিকে ওরা(মানে বিজেপি) ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে রেখেছে। চৌদ্দ লক্ষ লোককে আটকাতে কত বড় বড় জেলখানা লাগবে?! মিথ্যেরও তো একটা সীমা আছে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বের কাছে অসমের বাঙালিরা ডি ভোটার ও ডিটেনশন ক্যাম্প কালচারের স্থায়ী সমাধান চায়। এমনিতেই তিনি বাঙালিদের আশা ভরসা, যদি আগামী পাঁচ বছরে এটার সুরাহা করতে পারেন, তাহলে তিনি বাঙালিদের নয়নের মণি হয়ে থাকবেন।
সুশীল পাঠক, অসমের পরিস্থিতি ক্রমশ কাশ্মীর হতে যাচ্ছিল। সেই দুর্দিনে রথের রশি হাতে নিয়েছেন তিনি। কর্মপটু, দক্ষ, নিপুণ প্রশাসক তো বটেই, তিনি প্রবল রাষ্ট্রবাদী। অসমিয়া সুস্থ জাতীয়তাবাদ আর সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদের যুগলবন্দিই তাঁর লক্ষ। তাঁর পূর্বপুরুষ কৌণজের আর্য ব্রাহ্মণ। তাই রক্তে ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির ধারা বহমান। পিতা শিক্ষক ছিলেন। প্রয়াত কৈলাশনাথ শর্মা, যিনি বহু বাংলা গ্রন্থ অসমিয়াতে অনুবাদ করে গেছেন। মা মৃণালিনী দেবী সুসাহিত্যিক ও অসম সাহিত্য সভার বর্তমান সহ সভাপতি। মধ্যম ভাই দিগন্ত বিশ্ব সরকারি চাকরি ছেড়ে শ্রীঅরবিন্দ ও স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ প্রচার ও তাঁদের অনুবাদে নিরলস কর্মরত। সবচেয়ে বড় ভাই ইংল্যান্ডে ডাক্তার, সুসাহিত্যিক। অনেকেই হয়তো জানেন না মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বের পাঁচখানা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত গদ্যের বই অসমে হটকেকের মতো বিক্রি হচ্ছে। সেসব ওই দিদিমণির হাম্বা কাম্বা রাম্বা জাতীয় রচনা নয়। অনুপম স্বাদু গদ্যে ভরা। একটি দীর্ঘ রচনায় তিনি অসমের জাতীয় জীবনে বাঙালিদের অবদান বর্ণনা করেছেন সতথ্য।
অসমের ইতিহাসে ড. হিমন্ত বিশ্বের এই দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমা ও উত্থান যেন রূপকথার মতোই।
ডা. প্রশান্ত চক্রবর্তী
গয়াহাটি, ভারত।
১১-০৫-২০২১ইং
  • Online News

    Related Posts

    অনার্স-মাস্টার্স এমপিও ভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, নাটোর জেলার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, নাটোর মহোদয়ের নিকট “এপ্লিকেশন টু দ্য চিফ অ্যাডভাইজার” স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বেসরকারি কলেজ সমূহে নিয়োগপ্রাপ্ত অনার্স…

    কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কার

    নাটোরে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেল শোডাউন করা বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদকে সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে দলটি। তিনি নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব…

    You Missed

    অনার্স-মাস্টার্স এমপিও ভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    অনার্স-মাস্টার্স এমপিও ভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কার

    কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কার

    ঘটনার ৭ বছরপর সাবেক এমপি পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে গুমের মামলা

    ঘটনার ৭ বছরপর সাবেক এমপি পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে গুমের মামলা
    প্রাথমিক শিক্ষা ভাবনা-পর্ব: ১

    টানা ৪র্থ বার উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম

    টানা ৪র্থ বার উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম

    ডাকাতের প্রস্তুতি কালে পুলিশের অভিযানে ৬ ডাকাত আটক

    ডাকাতের প্রস্তুতি কালে পুলিশের অভিযানে ৬ ডাকাত আটক