নাটোরের লালপুরে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রনজুর বিরুদ্ধে ছখিনা বেগম (৭০) নামে এক জীবিত বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে বয়স্কভাতা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দনি প্রামানিকের বিধবা মেয়ে।
ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রনজুর স্বাক্ষরিত এক মৃত্যুর সনদে দেখা যায়, উপজেলার নূরুল্লাপুর গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দনি প্রামানিকের মেয়ে ছখিনা বেগম বার্ধক্য জনিত কারণে গত ৮ জানুযারি ২০২২ তারিখে মারা গেছে। আর এমন একটি মৃত্যুর সনদ দেখিয়ে বয়স্কভাতা বন্ধের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নারীকে মৃত্যুর সনদ দিয়ে তার বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে বয়স্কভাতা করে দেওয়ার জন্য সমাজসেবা অফিসে দিয়েছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
অথচ বিধবা ওই নারী জীবিত আছেন। আর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির আওতায় বয়স্কভাতা সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। চেয়ারম্যান মৃত্যুর সনদ দেওয়ার কারণে তার বয়স্কভাতা সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে।
আবেগপ্লুত কন্ঠে ভুক্তভোগী ছখিনা বেগম বলেন, বয়স্ক ভাতার টাকা মোবাইলে না আসলে। আমার নাতি শিমুলের সাথে আমি সমাজসেবা অফিসে খবর নিতে গেলে তারা জানায় আমি মরে গেছি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোত্তালেব সরকার বলেন, ভাতা সুবিধাভোগী মারা গেলে তার কার্ড বাতিল করে দেয়া হয়। ঈশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান ছখিনা বেগমের মৃত্যুর সনদ জমা দেয়ায় ওই সুবিধাভোগীর ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু বলেন, ভুলবশত এটা হয়ে গেছে। ওই নারীর ভাতা পূর্ণবহালের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।