ঘটনার ৭ বছরপর নাটোরের বড়াইগ্রামে আতিকুর রহমান নামে এক বিএনপি কর্মীকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে ঘটনার সাত বছর পর সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীসহ ২০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে গুমের শিকার উপজেলার কায়েককোলা গ্রামের আতিকুর রহমানের মা শেফালী খাতুন এ এজাহার দাখিল করেন। আদালতের বিচারক তৌহিদুর রহমান সুমন এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক সাইদুর রহমান সৈকত, উপপরিদর্শক মশিউর রহমান ও সাজ্জাদ হোসেন, প্রধান শিক্ষক এসকেন্দার মির্জা, কেচোয়াকোড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রউফ সরকার, ঝলু, কায়েমকোলা গ্রামের আবদুল লতিফ, আবদুল জলিল গাইন, শফিকুল ইসলাম শফি, আবু শামা, আমজাদ সরকার, ইসাহাক আলী, আশিক, কামারদহ গ্রামের আজাহার আলী মোল্লা, সাহাদৎ হোসেন, আরিফুল ইসলাম মিঠু ও রামাগাড়ি গ্রামের আলতাফ হোসেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের পয়লা জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ও উপপরিদর্শকরা অন্যান্য আসামিদের নিয়ে বিএনপি কর্মী কায়েমকোলা গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে আতিকুরের বাড়িতে যান। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্যের নির্দেশে তারা সেখানে গিয়েছেন জানিয়ে আতিকুরকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। পরদিন স্বজনরা ডিবির নাটোর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে দেখতে পান। কিন্তু পরবর্তীতে ডিবির কর্মকর্তারা আতিকুরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেননি এবং তার সন্ধান চাইলেও কৌশলে এড়িয়ে যান।
ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে সাবেক সাংসদ ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী মুঠোফোনে জানান, এজাহারে উল্লেখিত সময়ে আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র সদস্য হিসেবে ছিলাম। এবং সে সময়কার সাবেক সংসদ মরহুম আব্দুল কুদ্দুস সাহেবের সাথে আমার দূরত্ব থাকায় প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এধরনের ঘটনা ঘটানো আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।”