নাটোরের বড়াইগ্রামে এক তরুণী গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার(২৬ আগস্ট) রাতে উপজেলা জোনাইল ইউনিয়নের কুশমাইল সংগ্রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত গৃহবধুর নাম শাবনুর খাতুন (২৫)। সে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার স্ত্রী এবং একই উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল গ্রামের আলম শেখের মেয়ে।
শনিবার(২৭ আগস্ট) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শাবনুর সংগ্রামপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার স্ত্রী ও একই উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল গ্রামের আলম শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী চাঁন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের বাবা আলম শেখ বলেন, সাত বছর আগে সংগ্রামপুর গ্রামের নবাব আলীর ছেলে চাঁন মিয়ার (৩২) সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেই। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেই। কিন্তু তারা আরও টাকা দাবী করে আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থাণীয় ভাবে শালিস মিমাংসা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার নিজ শয়ন ঘরে আড়ার সাথে ওড়নায় ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। লাশের পা মাটির উপরে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস মেয়েকে তারা হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
নিহতের স্বামী চাঁন মিয়া বলেন, আমি ঢাকাতে একটি কারখানায় কাজ করি। বুধবার বাড়ি এসেছি। আমার শশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য জন্য শাবনুর আমাকে বলে। আমি দুইদিন পরে যেযতে চেয়েছি। এই অভিমানে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের আড়ার সাথে ওড়ণা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
বড়াইগ্রাম থনার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, এই বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।