৩ পরিবারের সম্মতিতেই দুই প্রেমিকাকে বিয়ে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিকাকে একসঙ্গে বিয়ে করে আলোচিত যুবক রোহিনী চন্দ্র বর্মণ ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন। তিন পরিবারের সম্মতিতেই পুনরায় বিয়ে করতে পেরে খুশি রোহিনী।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে যাকে ভালোবেসেছি তাকে বিয়ে করেছি। পরে মমতার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ে করতে হবে বুঝিনি। তিন পরিবারের সিদ্ধান্তেই আমি আবার বিয়ে করেছি। দুজনকে নিয়ে ভালো আছি।’
এর আগে বুধবার দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ের পর ঘরেও তুলেছেন একই সঙ্গে৷ দুই বউয়ের মাঝে দাঁড়ানো রোহিনীর বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় মুহূর্তে।
উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকার ২৫ বছরের রোহিনী বর্মণ তার নিজের বাড়িতেই বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ বছরের ইতি রানী ও ২১ বছরের মমতা রানীকে বিয়ে করেছেন।
দৈনিক বাংলাকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।
রোহিনী চন্দ্র বর্মণ লক্ষ্মীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মণের ছেলে। তার স্ত্রী ইতি রানী একই ইউনিয়নের গাঠিশাপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। আরেক স্ত্রী মমতা রানী একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টনোকিশোর রায়ের মেয়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইতি রানীর সঙ্গে রোহিনীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল৷ কয়েক মাসে আগে তারা দুজন স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন। এরপর রোহিনী নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মমতা রানীর সঙ্গে। গত ১২ এপ্রিল দেখা করতে গেলে মমতার বাড়ির লোকজন রোহিনীকে আটক করে রাখেন এবং পরের দিন তারা রোহিনী ও মমতার বিয়ে দিয়ে দেন।
রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে বুধবার সকালে রোহিনীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন ইতি রানী৷ পরে রাতে তিন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ও মমতার সঙ্গে রোহিনীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। দুই বউকে এক সঙ্গে ঘরে তুলে নেন রোহিনী৷
তবে এ বিষয়ে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে আমাকে কোনো পক্ষ মৌখিকভাবে বিষয়টি জানালে আমি প্রশাসনকে জানাতাম। কিন্তু অভিভাবকরা কেউ এ ঘটনায় অভিযোগ বা যোগাযোগ করেননি।’