অনেক স্বপ্ননিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন কৃষক রফিক খান ঝরু (৫০)। পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া ও পরিচর্যা বাবদ পাঁচ লাখ টাকা খরচও করেছেন। শনিবার(৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তাঁদের পুকুরে বিষ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে এক রাতেই শেষ হয়ে গেছে স্বপ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খিদিপুর গ্রামে।
ভুক্ত ভোগী কৃষক উপজেলা উপলশহর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় কৃষক বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী রফিক খান ঝরু দাবি, ছয় মাস আগে উপলশহর পুর্ব পাড়া গ্রামে অপসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আরশেদ আলীর চার বিঘা পুকুর পাঁচ বছরের জন্য পাঁচ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে তাঁরা মাছের চাষ শুরু করেন। পুকুরে টেংরা, রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন জাতের দেড় লাখ টাকার মাছের পোনা ছেড়েছেন। খাবারসহ পরিচর্যা বাবদ ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ টাকা খরচও হয়েছে তাঁদের। রোববার সকালে পুকুরে গিয়ে মরা মাছ ভাসতে দেখেন। একই সময় পুকুরের পানিতে বিষযুক্ত দ্রব্যের আলামত দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব মাছ মরে ভেসে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন পরেই মাছ বিক্রির উপযোগী হতো। বিক্রয় করতে পারলে খরচ বাদে দুই লক্ষ টাকা লাভ হতো। এখন লাভ তো দুরের কথা ঋন পরিশোধ করব কি করে। আমি তো কারো ক্ষতি করি নাই। আমার তো কোন শত্রæতাও নেই। তাহলে কেন এমন কাজ করা হলো।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।