বিশেষ প্রতিবেদকঃ
আবুল কালাম জোয়ারদার। যিনি ‘কালাম জোয়ার্দার’ নামে সকলের কাছে পরিচিত। বড়াইগ্রাম পৌরসভা ভূ-রাজনীতিতে স্রোতের বিপরীতে এক অনন্য নাম কালাম জোয়ারদার। আওয়ামী রাজনীতির অসম প্রতিযোগিতার সামনে দাঁড়িয়ে যেখানে অনেক নেতাই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা তথা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন বহুবার। সেখানে দাঁড়িয়ে কালাম জোয়ারদার কখনোই দলীয় মনোনয়ন তথা নৌকার বিরোধিতা করেননি কোন সময়। বরং সকল চাপ ও মামলা মোকদ্দমা কে প্রতিহত করে সামনের সারি থেকে নৌকা প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনে জীবন বাজি রেখে কাজ করে গেছেন।
রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বহুবার বিরোধী দল এবং নৌকা প্রার্থীর ভোট করার অপরাধে হামলা ও মামলার সন্মুখিন হয়েছেন।
বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জোয়ারদার একটি সম্ভ্রান্ত আওয়ামী পরিবারের সন্তান। যার পরিবার ছাড়াও আত্মীয়-স্বজনের ভেতরে আওয়ামী লীগের বাইরের রাজনীতি করা মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব দুষ্কর। কালাম জোয়ারদার এর আপন ছোট ভাই জালাল উদ্দিন জোয়ারদার বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত কমিশনার এবং প্যানেল মেয়র। বড়াইগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আব্দুল আজিজ জোয়ারদার আপন জেঠাতো ভাই। তার ফুফাতো ভাই মোঃ নূর ইসলাম সিদ্দিকী বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে পরপর দুইবার নির্বাচিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেম্বার এবং প্যানেল চেয়ারম্যান। আরেক ফুপাতো ভাই সারোয়ার আলম পিন্টু যিনি বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বড় ফুফুর ছেলে আব্দুল জলিল সরদার বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। মাজগাও ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী কালাম জোয়াররের আরেক ফুপাতো ভাই যিনি মাজগাও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক।কা
কালাম জোয়ারদার নিজে গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নিখাদআওয়ামী পরিবারের সন্তান কালাম জোয়াদ্দারের রাজনীতি শুরু হয় তার কৈশোর কাল থেকে। বড়াইগ্রাম পৌরসভা লক্ষীকোল বাজারে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে কিশোর কালাম জোয়ারদার অংশগ্রহণ করেছেন বুক চিতিয়ে। ১৯৮৬ এর জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে বর্তমান সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
ছাত্রজীবনে ছিলেন বড়াইগ্রাম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
যৌবনে পা দিয়েই বড়াইগ্রাম পৌর যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক এর দায়িত্ব পান এবং বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করছেন।
বড়াইগ্রাম পৌর জঙ্গি বিরোধী সংগঠনেরও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সমগ্র দেশে করোনার প্রাদুরভাব বিস্তার করার পর থেকেই তার নিজস্ব এবং জেলা পরিষদের অর্থায়ন থেকে জনসাধারণের ভিতর সচেতনতামূলক লিফলেট, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাক্স বিতরণ করেছেন। যেখানে তার সমমনা অনেক রাজনীতিক ব্যক্তি যারা রাজনীতির বড় আসনে বসে আছেন তারা করোনার ভয়ে জনসাধারণের মাঝে মিশেন নাই। কিন্তু কালাম জোয়ারদার করোনার ভয়কে জয় করে প্রতিনিয়ত জনসাধারণের মাঝে মিশেছেন বিরতিহীন ভাবে।
সদা হাস্যজ্জল নিরহংকারী কালাম জোয়ারদার বড়াইগ্রাম পৌরসভা তথা আশেপাশের প্রতিটি এলাকায় মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধ্যমত অনুদান দিয়েছেন।
এমন একটি নিখাদ আওয়ামী পরিবারের নিরহংকারী সন্তান, মানুষের জন্য যার দুয়ার সব সময় খোলা এমন একটি ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বড়াইগ্রাম পৌরবাসী এবার নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন।
বড়াইগ্রাম পৌরসভার আপামর জনগণ কালাম জোয়ার্দ্দারকে তাদের পৌর মেয়র হিসেবে দেখতে চায়।